Home » চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে ও চাহিদার স্থিতিস্থাপকতার সূত্র

চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে ও চাহিদার স্থিতিস্থাপকতার সূত্র

by Rezaul Karim
চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে, চাহিদার স্থিতিস্থাপকতার সূত্র,

চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে?

চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা বলতে দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির সাথে চাহিদার পরিমাণে হ্রাস-বৃদ্ধির সম্পর্ককে বোঝায়। দাম পরিবর্তনের ফলে চাহিদার পরিবর্তন হয়। কিন্তু চাহিদার পরিবর্তন সকল ক্ষেত্রে সমান হয় না। কোনো দ্রব্যের ক্ষেত্রে চাহিদার এ পরিবর্তন বেশি হয়। আবার কোনো দ্রব্যের চাহিদার পরিবর্তন কম হয়। দাম পরিবর্তনের ফলে চাহিদার পরিবর্তনের হারকে চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা বলা হয়।

অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শাল একটি নবপদ্ধতিতে চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা ব্যাখ্যা করেন। তিনি মূল্যের শতকরা পরিবর্তন দ্বারা পরিমাণের শতকরা পরিবর্তনকে ভাগ দিয়ে ভাগফলকে স্থিতিস্থাপকতা বলে সংজ্ঞা প্রদান করেন।

চাহিদার সংকোচন প্রসারণ ও হ্রাস বৃদ্ধি আলোচনা কর

অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শাল (Alfred Marshall) বলেন, “মূল্যের পরিবর্তনের ফলে চাহিদা যে দ্রুত বা ব ধীরগতিতে পরিবর্তিত হয় তাকে চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা বলে।” (The degree of repidity or slowness with which demand changes with every change in price is known as elasticity of demand.)

অধ্যাপক লিপসির (Lipsey) ভাষায়, “কোনো দ্রব্যের মূল্য পরিবর্তনের ফলে চাহিদা যে পরিমাণে সাড়া দেয় তাকেই চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা বলে।” (Elasticity of demand is the measure of the responsivensess of the quantity demanded to changes in price.)

অধ্যাপক কেয়ার্ন ক্রস (Cairn Cross)-এর মতে, “অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থেকে দাম পরিবর্তনের ফলে চাহিদার পরিবর্তন যে হারে হয়, চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা তাই পরিমাপ করে।”

অধ্যাপক এ. কুটসোয়ানিস (A. Koutsoyiannis)-এর মতে, “কোনো দ্রব্যের নিজস্ব দাম পরিবর্তনের ফলে চাহিদার সাড়া দেওয়ার মাত্রাকে দাম স্থিতিস্থাপকতা বলে।” (The price elasticity is a measure of the responsiveness of demand to changes in the commodity’s own price.)

চাহিদার স্থিতিস্থাপকতার সূত্র

দামের শতকরা পরিবর্তন এবং এর ফলে চাহিদার পরিমাণে শতকরা পরিবর্তন এ দুইয়ের অনুপাতকেই চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা বা চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা বলা হয়। নিচে চাহিদার স্থিতিস্থাপকতার সূত্রটি প্রকাশ করা হলো-

চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা = চাহিদার পরিমাণের শতকরা পরিবর্তন/দামের শতকরা পরিবর্তন

= চাহিদার পরিমাণের পরিবর্তন/প্রাথমিক চাহিদা ÷ দামের পরিবর্তন/প্রাথমিক দাম 

বা Ed = ΔQ/Q ÷ ΔP/P = ΔQ/Q × P/ΔP = ΔQ/ΔP × P/Q

এখানে, Ed = চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা

ΔQ = চাহিদার পরিমাণের পরিবর্তন

Q = প্রাথমিক চাহিদা

ΔP = দামের পরিবর্তন

P = প্রাথমিক দাম

সরলরেখার ঢাল কাকে বলে | সরলরেখার ঢাল নির্ণয়ের সূত্র লিখ

চাহিদা বিধি অনুযায়ী চাহিদা ও দামের মধ্যে বিপরীতমুখী সম্পর্কের কারণে চাহিদা রেখা নিম্নগামী হয়। এক্ষেত্রে ΔQ চাহিদা সমীকরণ থেকে প্রাপ্ত ঢাল এর মান ঋণাত্মক। এর ফলে Ed এর মান ঋণাত্মক হয়, যা অগ্রহণযোগ্য। এক্ষেত্রে চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতার পরম মান (Ed) ধনাত্মক করার জন্য সূত্রের সামনে ঋণাত্মক চিহ্ন রাখা হয়। তখন, Ed = ΔQ/ΔP × P/Q

অতএব, উপরের আলোচনা থেকে চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে ও চাহিদার স্থিতিস্থাপকতার সূত্র সম্পর্কে জানলেন।

Related Posts