Home » প্রাথমিক শেয়ার ও মাধ্যমিক শেয়ারের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা

প্রাথমিক শেয়ার ও মাধ্যমিক শেয়ারের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা

by Rezaul Karim
প্রাথমিক শেয়ার ও মাধ্যমিক শেয়ারের মধ্যে পার্থক্য,

শেয়ারের প্রকারভেদ এবং বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী দেখা যায় প্রাথমিক শেয়ার এবং মাধ্যমিক শেয়ারের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে বা উভয় ধারণার মধ্যে কিছু বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। যেমন:

১. সংজ্ঞা: বিভিন্ন কোম্পানি বা ইস্যুকারক প্রতিষ্ঠান IPO এর মাধ্যমে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বাজারে যে শেয়ার ছাড় এবং ক্রেতা আবেদনের প্রেক্ষিতে লটারির মাধ্যমে যে শেয়ার ক্রয় করে, তাকে প্রাথমিক শেয়ার বলে।

পক্ষান্তরে প্রাথমিক শেয়ারের মালিকগণ ব্রোকার হাউজের মাধ্যমে আগ্রহী অন্য বিনিয়োগকারীদের নিকট তার শেয়ার বিক্রি করলে, উক্ত বিক্রীত শেয়ারকে সেকেন্ডারি শেয়ার বলে।

২. প্রাপ্তি স্থান: প্রাথমিক শেয়ার সাধারণত ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। পক্ষান্তরে মাধ্যমিক শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয় বা হস্তান্তর হয় স্টক এক্সচেঞ্জে।

৩. হাত বদল: প্রাথমিক শেয়ার স্ব-স্ব কোম্পানির নিকট হতে প্রথমেই যারা লাভ করে অথবা লটারির মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়, তারাই এর মালিক। অর্থাৎ কোম্পানির নিকট হতে একবার মাত্র হাত বদল হয়। কিন্তু মাধ্যমিক শেয়ার যতদিন এই কোম্পানি থাকবে, ততদিন হাত বদল হতে পারে।

৪. বাজার: প্রাইমারি শেয়ার প্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে বলা হয় প্রাইমারি মার্কেট। পক্ষান্তরে স্টক একচেঞ্জ কর্তৃক পরিচালিত ব্রোকার হাউজের ইলেক্ট্রনিক ব্যবস্থায় শেয়ারের ক্রয়-বিক্রয়কে বলা হয় সেকেন্ডারি মার্কেট বা কার্ব মার্কেট।

শেয়ার কত প্রকার ও কি কি? – আলোচনা কর

৫. বণ্টন: প্রাইমারি শেয়ারের জন্য যারা আইপিও এর মাধ্যমে আবেদন করবে তাদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিতদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়া হয়। কিন্তু মাধ্যমিক শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেটে বাজার চাহিদা ও যোগানের প্রেক্ষিতে অগ্রাধিকার অনুযায়ী ক্রেতার BO একাউন্টে বণ্টিত হয়।

৬. দাম নির্ধারণ: প্রাথমিক শেয়ারের দাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এর নীতিমালা অনুযায়ী কোম্পানি নির্ধারণ করে। এক্ষেত্রে Face value সকল কোম্পানির সমান হলেও কোনো কোনো প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি প্রিমিয়ামসহ প্রাথমিক শেয়ারের মূল্য অধিক ধরে। পক্ষান্তরে সেকেন্ডারি বা মাধ্যমিক শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হয় বাজার চাহিদা ও বাজার যোগানের ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে। তবে দাম নির্ধারণে কোম্পানির পিই রেশিও, ইপিএস, মুনাফা প্রভৃতি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৭. বাজারের স্বরূপ: প্রাইমারি শেয়ারের বাজার প্রকৃতপক্ষে শেয়ার বাজার নয়। এটি কোম্পানির শেয়ার বণ্টনের একটি পদ্ধতি মাত্র। পক্ষান্তরে সেকেন্ডারি শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের বাজারকেই প্রকৃত শেয়ার বাজার বলা হয়। এখানে বিক্রেতা হলো কোম্পানির পক্ষে ব্রোকার হাউজ এবং ক্রেতা হলো BO একাউন্টধারী বিনিয়োগকারী।

৮. ঝুঁকি: প্রাথমিক শেয়ারে ঝুঁকি কম বা ঝুঁকি নেই বলা চলে কিন্তু মাধ্যমিক শেয়ারে ঝুঁকি সর্বদা বিদ্যমান আবার মুনাফার সম্ভাবনাও অধিক থাকে।

অর্থায়ন কি? অর্থায়নের কার্যাবলী আলোচনা কর।

Related Posts