Home » মনোবিজ্ঞানের শাখা সমূহ আলোচনা কর

মনোবিজ্ঞানের শাখা সমূহ আলোচনা কর

by Rezaul Karim
মনো বিজ্ঞানের শাখা, মনোবিজ্ঞানের শাখা সমূহ,

মনোবিজ্ঞানের শাখা সমূহ

আধুনিক মনোবিজ্ঞান একটি বহুল পরীক্ষিত ও গবেষণাসমৃদ্ধ বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে এ বিষয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে। বর্তমানে এসব শাখায় মনোবিজ্ঞানীগণ কাজ করছেন। আমেরিকান মনোবৈজ্ঞানিক সংস্থার হিসেব অনুযায়ী শুধু দক্ষিণ আমেরিকায় দুই লক্ষ এবং সমগ্র বিশ্বে পাঁচ লক্ষের অধিক মনোবিজ্ঞানী কাজ করছেন (American Psychological Association, 1999: Robert A Baron, 2004)। এর ফলে মনোবিজ্ঞানের তথ্যভাণ্ডার হয়েছে সমৃদ্ধ। নিম্নে মনোবিজ্ঞানের শাখা সমূহ আলোচনা করা হলো-

১. সাধারণ মনোবিজ্ঞান (General Psychology),

২. শারীরবৃত্তীয় মনোবিজ্ঞান (Physiological Psychology),

৩. পরীক্ষণ মনোবিজ্ঞান (Experimental Psychology),

৪. শিক্ষা মনোবিজ্ঞান (Educational Psychology),

৫. শিল্প মনোবিজ্ঞান (Industrial Psychology),

৬. প্রকৌশল মনোবিজ্ঞান (Engineering Psychology),

৭. বিকাশ মনোবিজ্ঞান (Developmental Psychology),

৮. শিশু মনোবিজ্ঞান (Child Psychology),

৯. সমাজ মনোবিজ্ঞান (Social Psychology),

০. অস্বভাবী মনোবিজ্ঞান (Abnormal Psychology),

১১. চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান (Clinical Psychology),

১২. নির্দেশনা মনোবিজ্ঞান (Counseling Psychology)।

মনোবিজ্ঞানের এই শাখা গুলো নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

১. সাধারণ মনোবিজ্ঞান (General Psychology)

মনোবিজ্ঞানের সকল শাখার সম্মিলিত রূপ হলো সাধারণ মনোবিজ্ঞান। সাধারণ মনোবিজ্ঞান আচরণের মৌলিক বিষয়গুলো, যেমন শিক্ষণ, স্মৃতি, প্রত্যক্ষণ, বুদ্ধি, প্রেষণা, আবেগ, ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে আলোচনা করে থাকে। মনোবিজ্ঞানের সকল শাখা যা আলোচনা করে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা প্রদান করাই সাধারণ মনোবিজ্ঞানের কাজ। এ জন্য সাধারণ মনোবিজ্ঞানকে অন্যান্য শাখার একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কেন্দ্র বলা হয়।

মনোবিজ্ঞান কাকে বলে? মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও।

২. শারীরবৃত্তীয় মনোবিজ্ঞান (Physiological Psychology)

প্রাণি আচরণের মূলে রয়েছে শারীরিক ভিত্তি। শারীরবৃত্তীয় মনোবিজ্ঞান মানুষের আচরণের সাথে শারীরিক অবস্থার সম্পর্ক আলোচনা করে। প্রতিটি প্রাণির একটি শারীরিক সত্তা আছে। আর সে জন্য প্রাণিদের প্রতিটি আচরণ জৈবিক নিয়মের মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হয়। যেমন, ক্ষুধার্ত প্রাণি খাদ্যের দিকে অগ্রসর হয়, এর কারণ ক্ষুধার্ত অবস্থায় প্রাণির পাকস্থলিতে সংকোচন সৃষ্টি হয়। এ শাখা স্নায়ুতন্ত্র, ইন্দ্রিয়যন্ত্র, জৈব-রাসায়নিক ঘটনাবলি, শারীরিক গঠন এবং আচরণের ওপর শারীরবৃত্তীয় ঘটনাবলির প্রভাব সম্পর্কেও আলোচনা করে।

৩. পরীক্ষণ মনোবিজ্ঞান (Experimental Psychology)

পরীক্ষণ মনোবিজ্ঞান মনোবিজ্ঞানের একটি অন্যতম শাখা। এ শাখা পরীক্ষণপদ্ধতির সাহায্যে তথ্য সংগ্রহ করে এবং সংগ্রহীত তথ্যের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করে। অবশ্য মনোবিজ্ঞানের অন্যান্য শাখাও পরীক্ষণপদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। পরীক্ষণ মনোবিজ্ঞানীদের কাজ হলো পরীক্ষণের মাধ্যমে আচরণ সম্বন্ধে মৌলিক তথ্য সংগ্রহ করা। মৌলিক তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তাঁরা সুনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পরীক্ষণ পদ্ধতির পরীক্ষণ পরিচালনা করে থাকেন। পরীক্ষণ মনোবিজ্ঞানের মৌলিক ক্ষেত্রসমূহ হলো স্নায়ুতন্ত্র, সংবেদন, প্রত্যক্ষণ, মনোযোগ, শিক্ষণ, স্মৃতি, আবেগ, প্রেষণা ইত্যাদি। যেসব মনোবিজ্ঞানী শারীরবিজ্ঞান ও মস্তিষ্কের ক্রিয়ার সাথে আচরণের সম্পর্ক খুঁজে বের করে থাকেন তাদেরকে জৈব মনোবিজ্ঞানী (Biopsychologist) বলা হয়। উল্লেখ্য যে, পরীক্ষণ মনোবিজ্ঞানীগণ মনোবিজ্ঞানের অন্য যে কোনো শাখার মনোবিজ্ঞানীদের তুলনায় মৌলিক গবেষণায় বেশি সম্পৃক্ত।

৪. শিক্ষা মনোবিজ্ঞান (Educational Psychology)

শিক্ষা মনোবিজ্ঞান মনোবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এ শাখা শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যার উল্লেখ এবং এসব সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন কৌশল আবিষ্কার করে থাকে। শিক্ষা মনোবিজ্ঞান ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক, শিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষার্থী, শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ, শিক্ষা দানের পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা করে। শিক্ষা মনোবিজ্ঞানীগণ শিক্ষণ ও প্রেষণা সম্বন্ধে মৌলিক জ্ঞানের প্রেক্ষিতে কীভাবে সুষ্ঠু শিক্ষা দান করা যায় তা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন। শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষার্থীর প্রেষণা, আগ্রহ মেজাজ ও মানসিক অবস্থা ইত্যাদি বিষয় জড়িত।

শিক্ষা মনোবিজ্ঞানীদের অনেকেই আবার স্কুল মনোবিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করেন। স্কুল মনোবিজ্ঞানীদের কাজ হলো স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা করা, ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা বিষয়ক অসুবিধাসমূহ দূরীকরণে সাহায্য করা, কোনো ছাত্র-ছাত্রী ব্যক্তিগত জীবনে কোনো অস্বভাবী আচরণ দেখা দিলে তাদেরকে সুপরামর্শ দানে সাহায্য করা।

৫. শিল্প মনোবিজ্ঞান (Industrial Psychology)

শিল্পক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানের গুরুত্ব অনেক। এ শাখা শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, ব্যবস্থাপনা, শ্রমিক সম্পর্ক, কর্ম-বিশ্লেষণ, কর্মচারী নির্বাচন, মানবসম্পর্ক, প্রশিক্ষণ, ভোক্তার জরিপ ইত্যাদি বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা করে। শিল্প মনোবিজ্ঞানীগণ শিল্পে মানবসম্পর্ক বজায় রাখেন এবং ভোক্তা সাধারণের পছন্দ অনুযায়ী দ্রব্য সামগ্রী তৈরির জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

৬. প্রকৌশল মনোবিজ্ঞান (Engineering Psychology)

প্রকৌশল মনোবিজ্ঞান শিল্প মনোবিজ্ঞানের একটি নতুন শাখা। প্রকৌশল মনোবিজ্ঞানীদের কাজ হলো যন্ত্রকে মানুষের উপযোগী করে প্রস্তুত করার কাজে প্রকৌশলীদেরকে সাহায্য করা। প্রকৌশল মনোবিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলেই উন্নত মানের যন্ত্রপাতির তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।

৭. বিকাশ মনোবিজ্ঞান (Developmental Psychology)

বিকাশ মনোবিজ্ঞান ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন এবং ব্যক্তিত্বে ব্যক্তিত্বে পরিবর্তনের যেসব পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তা পর্যালোচনা করে। এ শাখা শুধু বয়স অনুযায়ী আচরণের বিবরণ প্রদান করে তা নয়। এটি বিভিন্ন বয়সে ব্যক্তিভেদে আচরণে যে পার্থক্য দেখা দেয় তার অন্তর্নিহিত কার্যকারণ সম্পর্কে নিদের্শ প্রদান করে। বিকাশ একটি জীবনব্যাপী ঘটনা। জন্মের পর থেকে মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত মানুষের আচরণে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। আচরণের এসব পরিবর্তন কোন কোন বয়সে দ্রুত ঘটে আবার কোন কোন বয়সে ধীর গতিতে সংঘটিত হয়। অর্থাৎ বিভিন্ন বয়সে ব্যক্তি আচরণে নানা রকম পরিবর্তন সংঘটিত হয়ে থাকে। এসব পরিবর্তন বিকাশ মনোবিজ্ঞানের আলোচনার অন্তর্ভুক্ত। এ শাখা শিশুর গর্ভাবস্থা, শৈশবকাল, বয়ঃসন্ধিকাল, যৌবন, পৌঢ়, বার্ধক্য প্রভৃতি প্রতিটি পর্যায়ের বিকাশ ও বৃদ্ধি সম্পর্কে আলোচনা করে থাকে। এ প্রসঙ্গে Spencer A. Rathus (১৯৯০) বলেন- বিকাশ মনোবিজ্ঞানীগণ ব্যক্তির সমগ্র জীবনে শারীরিক, আবেগগত, পরিজ্ঞানমূলক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে যেসব পরিবর্তন সংঘটিত হয় তা অনুধ্যান করে থাকেন (Developmental Psychologist study the changes-physical, emotional, cognitive and social that occur throughout the life span-Spencer A Rathus, Psychology, 1990).

৮. শিশু মনোবিজ্ঞান (Child Psychology)

মনোবিজ্ঞানের এ শাখা শিশুর বিকাশ ও বৃদ্ধি সম্পর্কে আলোচনা করে থাকে। শিশু মনোবিজ্ঞানের পরিধি হলো মাতৃগর্ভে ভ্রূণের জন্ম মুহূর্ত থেকে শুরু করে যৌন পরিপক্বতা অর্জনের পূর্ব পর্যন্ত। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে। শারীরিক বৃদ্ধির ফলে তার আচরণে যে পরিবর্তন সূচিত হয় তা শিশু মনোবিজ্ঞান আলোচনা করে থাকে। শিশু যে পরিবেশে বড় হয় সে পরিবেশও এ বিজ্ঞানে আলোচিত হয়। যেমন, শিশুর সামাজিক পরিবেশ, তার পরিবার, তার খেলার সঙ্গী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি বিষয় তার ব্যক্তিত্ব গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সুতরাং শিশুর দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, নৈতিক বিকাশ প্রভৃতি সম্পর্কে আলোচনাই এ শাখার প্রধান উদ্দেশ্য।

৯. সমাজ মনোবিজ্ঞান (Social Psychology)

মনোবিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার ন্যায় সমাজ মনোবিজ্ঞানও মনোবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। সমাজ মনোবিজ্ঞান সমাজে বসবাসকারী ব্যক্তির আচরণ সম্বন্ধে আলোচনা করে। ব্যক্তির মনোভাব কীভাবে গঠিত হয় বা পরিবর্তত হয়ে থাকে, ব্যক্তির ওপর কৃষ্টির প্রভাব কতটুকু, সমাজের রীতি-নীতি, আদর্শ, মূল্যবোধ কীভাবে সৃষ্টি হয় এবং পরিবর্তিত হয় ইত্যাদি বিষয় সম্বন্ধে সমাজ মনোবিজ্ঞান আলোচনা করে।

১০. অস্বাভাবী মনোবিজ্ঞান (Abnormal Psychology)

অস্বাভাবী মনোবিজ্ঞান মনোবিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যা অস্বভাবী আচরণের কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়, মূল্যায়ন, চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্বন্ধে আলোচনা করে। এ শাখার মূল উদ্দেশ্য হলো অস্বভাবী আচরণ সম্বন্ধে অনুধ্যান করা। মনোবিজ্ঞানের যে শাখা অস্বভাবী আচরণের কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়ের চেষ্টা করে এবং অস্বভাবী আচরণের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করে সেই শাখাকে অস্বভাবী মনোবিজ্ঞান বলে। অস্বভাবী মনোবিজ্ঞানের ইংরেজি প্রতিশব্দ Abnormal Psychology Abnormal শব্দটিকে ab এবং normal এই দুভাবে ভাগ করা যায়। Ab শব্দের অর্থ হলো away বা দূরে এবং normal শব্দের অর্থ স্বাভাবিক, অর্থাৎ যা স্বাভাবিক হতে দূরে তাই অস্বভাবিক (abnormal)। এ বিজ্ঞান অস্বভাবী আচরণের বর্ণনা, শ্রেণিবিভাগ, উদ্ভব, কারণ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করে।

মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু আলোচনা কর

১১. চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান (Clinical Psychology)

চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান মনোবিজ্ঞানের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগমূলক শাখা। প্রেকটিসিং মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মনোবিজ্ঞানী মানসিক রোগীদের চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। আমেরিকার মনোবৈজ্ঞানিক এসোসিয়েশনের সদস্যদের শতকরা ৪৩ জন। চিকিৎসার কাজে জড়িত। এ শাখায় যেসব মনোবিজ্ঞানী কাজ করেন তাদেরকে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী বলা হয়। মানসিক রোগীদের চিকিৎসাকার্যে নিয়োজিত মনোবিজ্ঞানীরা তিনটি উপদলে বিভক্ত, যথা:

(১) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী (Clinical Psychologist),

(২) মনোচিকিৎসক (Psychiatrist),

(৩) মনঃসমীক্ষক (Psychoanalyst)।

একজন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী পিএইচডি (PhD) ডিগ্রি বা অনেক সময় ডক্টর অব সাইকোলজি (Doctor of Psychology) সংক্ষেপে (PsyD) ডিগ্রিপ্রাপ্ত হন। চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা সাধারণত মনোচিকিৎসা (Psycho-therapy) পদ্ধতির সাহায্যে মানসিক ব্যাধির চিকিৎসা করেন। আবার অনেক সময় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা মনোচিকিৎসকের সাথে একত্রে কাজ করেন। মনোচিকিৎসক এবং মনঃসমীক্ষক উভয়েই চিকিৎসা বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ ডিগ্রি প্রাপ্ত (Doctors of Medicine) সংক্ষেপে M.D। মনোচিকিৎসকগণ ঔষধপত্র, বিদ্যুৎ আঘাত (Electrict Shock) অস্ত্রোপচার এবং নানা রকম মনোবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মানসিক ব্যাধির চিকিৎসা করেন। কিন্তু মনঃসমীক্ষকগণ শুধু ফ্রয়েড এর মনঃসমীক্ষণ (Psychoanalysis) পদ্ধতিতে চিকিৎসা করেন। মনোচিকিৎসক ও মনঃসমীক্ষকদের জন্য মনোবিজ্ঞানের মৌলিক শিক্ষা গ্রহণের তেমন প্রয়োজন নেই।

১২. কাউন্সেলিং মনোবিজ্ঞান (Counseling Psychology)

কাউন্সেলিং মনোবিজ্ঞান মনোবিজ্ঞানের একটি ফলিত শাখা (applied field)। এ শাখায় যেসব মনোবিজ্ঞানী কাজ করেন তাদেরকে কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট (Counseling Psychologist) বলা হয়। তাঁরা মানসিক বিশৃঙ্খলা, পেশা নির্বাচন, পারিবারিক বিশৃঙ্খলা ও বিরোধ, বিবাহ সমস্যা, শিল্পসংকট ইত্যাদি ক্ষেত্রে উপদেশ প্রার্থীকে সুপরামর্শ দেন এবং কর্তব্য নির্ণয়ে সাহায্য করেন। আমেরিকার মনোবৈজ্ঞানিক এসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে শতকরা ১১ জন নির্দেশনার কাজে জড়িত আছেন। কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্টগণ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন নিয়োগ সংস্থায় কাজ করেন।

Related Posts