Home » সামাজিক সমস্যার কারণ সমূহ জেনে নিন বিস্তারিত

সামাজিক সমস্যার কারণ সমূহ জেনে নিন বিস্তারিত

by Rezaul Karim
সামাজিক সমস্যার কারণ সমূহ

সামাজিক সমস্যার কারণ

সামাজিক জীবনে পারস্পরিক সংহতি ও সমাজনীতিতে নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি হয়। এ জটিল অবস্থার জন্যই সামাজিক জীবনে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ সমস্যাগুলো সামগ্রিকভাবে সমাজব্যবস্থার সাথে জড়িত থাকে। নিম্নে সামাজিক সমস্যার কারণ সমূহ আলোচনা করা হলো:

১. সামাজিক অসংহতি (Social Disintegration)

যখন পুরানো কার্যপ্রণালী, প্রাচীন বিশ্বাস, সামাজিক সম্পর্ক, দীর্ঘকালের প্রতিষ্ঠিত আচার-আচরণ নতুনের সংস্কারে ভেঙে যায় তখন নতুনের সাথে পুরাতনের অসংহতি সৃষ্টি হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রসারের সাথে সাথে ধর্মের সামাজিক কার্যকারিতা অনেকাংশে লোপ পেয়ে যায়; যেমন- হিন্দু ধর্মানুযায়ী বিধবা বিবাহ সমাজে অবৈধ ছিল; কিন্তু জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রসারের ফলে সে প্রথা যুক্তিসিদ্ধ হয়ে বৈধ করা হয়েছে, তবুও অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী এ সংস্কারকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করে নি। নতুনের ভাবধারার সাথে তাদের মনের অসংহতি ভাব বিরাজ করতে অনেক ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যায়। এতে পরস্পরের মাঝে পুরাতনের সাথে নতুনের দ্বন্দ্ব থেকে যাবে, যতদিন পর্যন্ত না সে এ নতুন সংস্কারকে মেনে নিতে পারবে।

সামাজিক সমস্যা কি | সামাজিক সমস্যা কাকে বলে | সামাজিক সমস্যার সংজ্ঞা

২. সাংস্কৃতিক অনগ্রসরতা (Cultural Lag)

যান্ত্রিকীকরণের সাথে সাথে সমাজ বিভিন্ন প্রকারের সমস্যার উদ্ভব হয়। নগর ও শহর শিল্পায়নে দ্রুত অগ্রগতির সাথে সাথে অসামঞ্জস্যতা, সাংস্কৃতিক সংকট, বে-বন্দোবস্ত, বস্তি, মদ্যপান, জুয়া ও পতিতাবৃত্তি বেড়ে চলেছে। নগর ও শিল্পায়নের ফলে নগরের উপর জনসমাগমের যে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয় তা থেকে নানাবিধ সমস্যার উদ্ভব ঘটে। এছাড়া নগর ও শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দাগণ প্রথমত, পল্লি এলাকা থেকে এসে শহরের সংস্কৃতির সাথে একটা সার্থক সামঞ্জস্য গড়ে তুলতে পারে না। ফলে অনেক দিক থেকে অসাঞ্জস্যতার সৃষ্টি ঘটে।

অধ্যাপক অগবার্ন সংস্কৃতির বিভিন্ন অংশের বিশেষত তার বিমূর্ত ও বাস্তব দিকটির বিশ্লেষণ করে বলেছেন যে, সংস্কৃতির বিভিন্ন অংশ সর্বদা সমান তালে চলতে পারে না, অর্থাৎ কেউ কিছু আগে অগ্রসর হয়, আবার কেউ তার পশ্চাতে পড়ে। অথচ যেহেতু এসব অংশ সামাজিক কারণে পরস্পরের সাথে সম্পৃক্ত, এক অংশের পরিবর্তনের হাওয়া আর এক অংশকে স্পর্শ করে। কিন্তু পরিবর্তন ঘটতে সময় লাগে। সমাজ পরিবর্তনশীল, কিন্তু পরিবর্তনের গতিবেগ সর্বত্র সমান তালে চলে না; সে কারণে এ ব্যবধান সমাজের প্রায় সর্বক্ষেত্রেই দেখা যায়। যখন এ ব্যবধান অধিকতর সময়সাপেক্ষ হয় বা স্থায়িত্ব লাভ করে তখন নানাবিধ সামাজিক সমস্যার উদ্ভব হয়।

৩. অতিরিক্ত জনসংখ্যা (Overpopulation)

জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সমাজজীবনের মান হ্রাস পেতে বাধ্য। প্রয়োজনের অতিরিক্ত জনশক্তি সমাজে একটি বড় সমস্যা। একদিকে খাদ্যাভাব যেমন পুষ্টিহীনতায় নানা রোগের সৃষ্টি করে সামাজিক মানুষকে জরাজীর্ণ করে তোলে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক চাপ সমাজের বোঝাস্বরূপ হয়ে দাঁড়ায়। এতে পারিবারিক শান্তি ও পারস্পরিক দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পায়। সমাজে বেকারত্বের হার বেড়ে যায় এবং পরিবারের সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সকলের প্রয়োজন মিটানো কষ্টসাপেক্ষ হয়ে উঠে।

৪. কিশোর অপরাধপ্রবণতা (Juvenile Delinquency)

কিশোর এবং শিশু অপরাধীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পৃথিবীব্যাপী এক সমস্যা সৃষ্টি করেছে। পিতামাতার স্নেহের অভাব, অপূরিত আকাঙ্ক্ষা, তদারকির অভাব, দুঃখ-দারিদ্র্য, অবিচার, আশৈশব কু- ব্যবহার প্রাপ্তি, দ্বন্দ্বরত মন ও বিবিধ প্রদমিত মনোজট (Complex) কিশোরদের অপরাধ প্রবণতার দিকে আকর্ষিত করে। সামাজিক জীবনে কিশোরদের সঠিকভাবে পরিচালনা না করতে পারলে সমাজে ভবিষ্যতে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে বাধ্য।

আধুনিক যুগে পারিবারিক সমস্যা বেড়ে যাবার ফলে পরিবারের আর্থিক অবস্থাকে সচ্ছল করার জন্য মাতাপিতা অনেক সময় কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকে। শিশু-কিশোর জীবনে তাদেরকে এরূপ স্বাধীনতা দেওয়ার ফলে অনেক সময় তাদেরকে সমাজের বহু জটিল অবস্থার শিকার হতে হয়। ফলে উপরিউক্ত কারণগুলো তাদেরকে বিপথে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। তাছাড়া শিশু-কিশোর বয়সে যদি তাদেরকে উপেক্ষা করা হয় অথবা সামাজিকীকরণের পথগুলো বন্ধ রাখা হয় তাহলে সমাজজীবনের সাথে তাদের মনোভাব বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ তারা বিচ্ছিন্নতা ও আদর্শহীনতায় ভুগবে, তারা হতাশাগ্রস্ত এমনকি মনস্তাত্ত্বিক অস্থিরতায় ভুগবে। ফলে সমাজজীবনে দেখা দিবে নানাবিধ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সৃষ্টি হবে নানাবিধ সমস্যা। আমরা বলে থাকি যে, আজকের শিশু আগামী দিনের নাগরিক বা রাষ্ট্রের কর্ণধার। কিন্তু শৈশবকাল থেকে যদি শিশুরা সুষ্ঠু পরিবেশে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে হেঁয়ালী হয়ে পড়ে, তাহলে ভবিষ্যতে এর ফল মারাত্মক আকার ধারণ করবে।

৫. আত্মহত্যা (Suicide)

আত্মহত্যা বর্তমানে একটি সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের ব্যর্থতা, নৈরাশ্যবোধ, ব্যবসায়-বাণিজ্যে অকৃতকার্যতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও পরিবেশের সাথে অসামঞ্জস্যের ফলে আত্মহত্যার পরিমাণ বেড়ে উঠে। বিশেষ কোন উদ্দেশ্য, সংস্কৃতি, আবহাওয়া ও সামাজিক রীতিনীতি প্রভৃতি কারণে আত্মহত্যা ঘটে থাকে। অর্থাৎ আত্মহত্যা হলো একটি ভেঙে পড়া বিপর্যস্ত বিমূঢ় মানুষের জীবনের দুর্বলতম মুহূর্তের কাজ। কোন ব্যক্তিগত ব্যর্থতার দরুন বেদনায়, অভ্যস্ত জীবনে হঠাৎ পরিবর্তনের আকস্মিকতার আঘাতে বা অসহনীয় অসম্মানের আশঙ্কায় যখন কোন হতভাগ্যের মনে হয় আর মুহূর্তের জন্যও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়, তখনই সে আত্মঘাতী হয়।

সামাজিক নিয়ন্ত্রণে পরিবার ও ধর্মের ভূমিকা

কোন রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কারণে অভ্যস্ত জীবনযাত্রার মান ও সামাজিক মর্যাদায় হঠাৎ একটা বড় রকমের ওলট-পালট ঘটে গেলেও অনেকের পক্ষে তা মেনে নেওয়া সম্ভব হয় না। বেকার সমস্যা, নিরাশ্রয়তা, ঋণের দুশ্চিন্তা প্রভৃতিও আত্মহত্যার কারণ হয়। তবে সামাজিক কারণে আত্মহত্যার সংখ্যাই সর্বাধিক দেখা দেয়।

সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে জীবনের জটিলতা যত বাড়ছে, মানুষের মধ্যে আত্মঘাতীর সংখ্যাও ততই বেড়ে চলেছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, শিল্পোন্নত দেশগুলোতে বয়স্ক ব্যক্তিদের মৃত্যুর প্রধান দশটি কারণের মধ্যে আত্মহত্যা একটি এবং ছাত্র-যুবক ও নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক জীবনে এ আত্মহত্যা একটি মারাত্মক সামাজিক সমস্যা। এটি গোটা সমাজজীবনে নৈরাশ্য ও বিপর্যয় ডেকে আনে।

৬. বেকার সমস্যা (Unemployment Problem)

বেকারত্ব যেমন ব্যক্তিজীবনে অভিশাপ তেমনি সমাজজীবনের প্রতিও মনে করা যেতে পারে। আধুনিক যুগে প্রত্যেক সমাজেই এ বেকারত্ব রয়েছে। বর্তমানে অর্থনীতিবিদগণ এ বেকার সমস্যা সমাধানের উদ্বেগ নিয়ে বেঁচে আছেন বলতে হবে। উন্নত হোক বা অনুন্নত হোক সকল সমাজেই বেকারত্বের হার বেড়ে চলেছে। তাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে বহুদিক থেকে সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনেকে বেকার সমস্যাকে পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় ব্যক্তিমালিকানার শোষণের ফলশ্রুতি হিসেবে মনে করেন। বেকার সমস্যা নিয়ে সমাজবিজ্ঞানিগণ ও অর্থনীতিবিদগণ একইভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ বেকারত্ব সমাজজীবনকে পঙ্গু করে তোলে।

৭. বর্ণ-সংঘাত (Race Prejudice)

আধুনিক বিশ্বে বর্ণ-সংঘাত সামাজিক সমস্যার একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বর্ণ-সংঘাতের ফলে সামাজিক জীবনের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটে এবং সমাজজীবনের স্বাভাবিক অবস্থা বিপর্যস্ত হয়। আধুনিক বিশ্বে যোগাযোগ ও পরিবহনের সুবিধার জন্য বিভিন্ন বর্ণের মানুষ পরস্পরের সংস্পর্শে এসেছে। এরা বিভিন্ন স্তরের মানুষ। অজ্ঞতা, প্রতিযোগিতা, বর্ণবৈষম্য বর্ণ-সংঘাতের কয়েকটি কারণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিগ্রো সমস্যা, ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ- কৃষ্ণাঙ্গ সমস্যা, ইউরোপে ইহুদি সমস্যা, ভারতে হরিজন সমস্যা এসব বিরোধ ও বিদ্বেষ সামাজিক সংহতি বিনষ্ট করে সমাজে সমস্যার সৃষ্টি করে।

৮. দৈহিক বিকলাঙ্গ (Physical Deviates)

সমাজের দৈহিক বিকলাঙ্গদের দ্বারা নানাবিধ সামাজিক সমস্যার উদ্ভব ঘটে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো দৃষ্টিশক্তিহীনতা, শ্রবণ শক্তির দুর্বলতা, বাচনের বা কথাবার্তার অক্ষমতা বা ত্রুটি, পক্ষাঘাত, দৈহিক গঠনের অস্বাভাবিকতা ও অঙ্গবিশেষের অপূর্ণতা। দৈহিকভাবে বিকলাঙ্গদের সংখ্যা যদি সমাজে বাড়তে থাকে তাহলে নানা প্রকার বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। এসব বিকলাঙ্গ ব্যক্তি সামাজিক জীবনে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির সহায়ক নয়। অনেক ক্ষেত্রে এসব দৈহিক বিকলাঙ্গ ব্যক্তি ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকানির্বাহ করতে বাধ্য হয়। তাছাড়া সামাজিক জীবনে এসব বিকলাঙ্গ মানুষ প্রশাসনিক কার্যে বা অন্য কোন পেশায় সহজে চাকরি গ্রহণ করতে পারে না।

৯. বিবাহবিচ্ছেদ (Divorce)

আধুনিক বিশ্বে বিবাহবিচ্ছেদ একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা। অনেকের মতে, প্রযুক্তিবিদ্যার অগ্রগতি, শিল্পায়ন ও নগরায়ণের ফলে এমন কয়েকটি পরিবর্তন ঘটে যা স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক বন্ধনকে শিথিল করে বিবাহবিচ্ছেদের পথ প্রশস্ত করে। বিবাহবিচ্ছেদের ফলে সামাজিক জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া জন্মে। সমাজের পারস্পরিক সংহতি এবং পরিবার প্রতিষ্ঠানের মাঝেও বিরূপ প্রতিফলন ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, অর্থনৈতিক, দৈহিক ও মানসিক কারণে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ব্যক্তিজীবনে এবং সমাজজীবনে বিবাহবিচ্ছেদ নানা প্রকার সমস্যার সৃষ্টি করে। সেজন্য বিবাহবিচ্ছেদের হার সীমিত রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারণ শিথিল বিবাহ বন্ধন সভ্য সমাজে বহু বন্ধনকেই শিথিল করে দেয়।

১০. পতিতাবৃত্তি (Prostitution)

রাজার নির্দেশ, যাজকের উপদেশ, সমাজের বিধান ও রাষ্ট্রীয় বিধিনিষেধ নিষ্ফল করে পৃথিবীর প্রাচীনতম পাপ ব্যবসায় পতিতাবৃত্তি কয়েক সহস্রাব্দ অতিক্রম করে আজও টিকে আছে। শুধু টিকে আছে বললে ভুল হবে; যতদিন যাচ্ছে পতিতাবৃত্তি তত শৌখিন, সুমার্জিত ও বিচিত্র রূপ নিয়ে সমাজে বিস্তৃতি লাভ করছে।

সামাজিক নিয়ন্ত্রণ কি | সামাজিক নিয়ন্ত্রণ কাকে বলে

পতিতা শুধু তাদেরই বলা যায়, যারা প্রচলিত সামাজিক অনুশাসন বা রাষ্ট্রীয় বিধি জমান্য করে দেহের বিনিময়ে জীবিকানির্বাহ করে। অর্থাৎ পতিতাবৃত্তি একটি জীবিকা, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরুপায় নিরাশ্রয় নারীর শেষ অবলম্বন। কিন্তু উন্নতনশীল দেশগুলোর সব শহরেই পতিতাবৃত্তির অস্তিত্ব রয়েছে। সামাজিক জীবনে তা একটি মারাত্মক ব্যাধি এবং সমাজে এর প্রতিক্রিয়ায় নানাবিধ সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করে। পতিতাবৃত্তির ফলে ইউরোপে যৌনব্যাধি বর্তমানে একটা ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমরা সকলেই জানি যে, সমাজে পতিতাদের স্থান নেই। সামাজিক মর্যাদা থেকে তারা বঞ্চিত। সমাজে যদি অবাধে পতিতাবৃত্তি চলে তাহলে মানুষের মূল্যবোধ বলতে কিছুই থাকবে না। পতিতাবৃত্তির ফলে সমাজে এ অবৈধ মোহ টাকার বিনিময়ে সকলেই উপভোগ করতে আগ্রহী হয়ে পড়বে। এতে সমাজজীবন হবে কলুষিত। নৈতিক চরিত্রের অধঃপতনে সমাজ হবে মূল্যহীন। এ সমস্যা ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে খর্ব করে, পারিবারিক সুখ বিনষ্ট করে ও সামাজিক মানুষের নৈতিক চেতনা থেকে অনেক দূরে সরিয়ে অধঃপতনের দিকে ধাবিত করে।

অতএব, উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনারা বাংলাদেশে সামাজিক সমস্যার কারণ সম্পর্কে অবগত হলেন।

Related Posts