Home » সামাজিক স্তরবিন্যাস কত প্রকার | সামাজিক স্তরবিন্যাসের প্রকারভেদ

সামাজিক স্তরবিন্যাস কত প্রকার | সামাজিক স্তরবিন্যাসের প্রকারভেদ

by Rezaul Karim
সামাজিক স্তরবিন্যাস কত প্রকার

সামাজিক স্তরবিন্যাস কত প্রকার

স্তরবিহীন সমাজ অলীক কল্পনা। মানব ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে সে সত্যই প্রতিভাত হয়; যদিও সকল সমাজের স্তরবিন্যাস একরকম নয়। সমাজবিজ্ঞানীরা সাধারণ সামাজিক স্তরবিন্যাসের চারটি প্রধান ধরন নির্ধারণ করেছেন। এগুলো হলো:

১. দাসপ্রথা (Slavery),

২. এস্টেট প্রথা (Estate),

৩. জাত বা জাতিবর্ণ (Caste),

৪. শ্রেণি ও মর্যাদা গোষ্ঠী (Class and Status Group).

১. দাসপ্রথা (Slavery)

পৃথিবীর সর্বত্র প্রাচীন সভ্যতা দাসপ্রথার উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। কোন দেশ বিজয় এবং পরবর্তী ধাপে দেশের সমগ্র জনগণের উপর প্রভুত্ব বিস্তারের মাধ্যমে সমাজে বিজেতা ও বিজিত শ্রেণি গড়ে উঠে। বিজেতা ও বিজিতের পারস্পরিক সম্পর্ককে কেন্দ্র করে যে স্তরবিন্যাস গড়ে উঠে তার প্রথম নির্ণায়ক হলো দাসপ্রথা। মুখ্যত দাসপ্রথা অর্থনৈতিক স্বার্থে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলা চলে। কারণ দাসগণ ছিল প্রভুর সম্পত্তি। ফলে প্রভুর অবাধ কর্তৃত্ব ছিল দাসের উপর। এ কর্তৃত্বের ভিত্তিতে প্রভুগণ অভিজাত শ্রেণিতে সমাজে স্বীকৃত হলো এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত হলো দাস ও প্রভু শ্রেণি। দাসগণ সমাজে নিম্ন শ্রেণিভুক্ত হয়ে রইল। সামাজিক ক্ষেত্রে দাস ছিল ঘৃণার পাত্র। দাসদের প্রতি প্রভুর অসম সামাজিক সম্পর্কের মাধ্যমে প্রাচীনকালে সামাজিক স্তরবিন্যাস গড়ে উঠে। পরবর্তী পর্যায়ে দাসদের শ্রমবিভাগের মাধ্যমে সামাজিক স্তরবিন্যাসের রূপ আরো স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে। প্রাচীনকালের সমাজব্যবস্থাতে দাস ও প্রভু বা অভিজাত শ্রেণির তারতম্যের ভিত্তিতে সমাজে শ্রেণির উদ্ভব ঘটে।

সামাজিক স্তরবিন্যাস কি? সামাজিক স্তরবিন্যাসের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।

বৈশিষ্ট্যাবলি:

ক. দাসেরা ছিল প্রভুর সম্পত্তি,

খ. দাস যে কোন কাজ করতে বাধ্য থাকতো,

গ. এর মূল ভিত্তি ছিল অর্থনীতি,

ঘ. দাসদের কোন স্বাধীনতা ছিল না,

ঙ. কোন মানবিক ও সামাজিক অধিকার ভোগ করতে পারতো না।

চ. সামাজিকভাবে দাসেরা ছিল ঘৃণার পাত্র।

ছ. তাদের কোন ভূসম্পত্তি ছিল না।

জ. দাসদের উপর প্রভুর ছিল অবাধ কর্তৃত্ব।

২. এস্টেট প্রথা (Estate)

মধ্যযুগে ইউরোপে জন্মগতভাবেই ব্যক্তির মর্যাদা নিরূপণ করা হতো। বিভিন্ন সামাজিক স্তর আইনের মাধ্যমে নিরূপণ করে সমাজস্থ মানুষের কর্তব্য ও দায়িত্ব নির্দিষ্টভাবে বণ্টন করা হতো; যেমন- ভূম্যধিকারী শ্রেণি, যাজক সম্প্রদায় ও সাধারণ মানুষ। এক্ষেত্রে সকলের জন্য সমান অধিকার ছিল না। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রেও সকলে সমান বিচারের দাবিদার ছিল না। অর্থাৎ সমাজস্থ মানুষ যে স্তরে জন্মগ্রহণ করতো সেই স্তরের মান অনুযায়ীই সমাজে মর্যাদা লাভ করতো। মধ্যযুগের ইউরোপীয় সমাজব্যবস্থার আইনস্বীকৃত এ বিভাজনের নিয়মকে এস্টেট প্রথা বলা হয়।

মধ্যযুগের ইউরোপীয় সমাজ মূলত তিনটি এস্টেটে বিভক্ত ছিল। যথা:

1. The Nobility (অভিজাত শ্রেণি) 1st Estate- এদের কাজ ছিল সবাইকে রক্ষা করা।

2. The Clergy (যাজক শ্রেণি)→ 2nd Estate- এদের কাজ ছিল সবার জন্য প্রার্থনা।

3. The Commoners (সাধারণ শ্রেণি) 3rd Estate সবার জন্য খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করা।

ভূমিই ছিল ইউরোপীয় মধ্যযুগের সম্পদের উৎস। কোন কোন সামন্ত বা ভূস্বামী ৩০ থেকে ২০০ গ্রামের মালিক ছিল। এসব এলাকাটাই তাদের এস্টেট। এই গ্রাম বা এস্টেটে জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় সব জিনিসই উৎপন্ন হতো। প্রতিটি সামন্তের এস্টেটে কৃষক, কারিগর, তাঁতী, কাঠমিস্ত্রী এবং আরো অন্যান্য শ্রেণি ছিল।

আপনারা পড়ছেন সামাজিক স্তরবিন্যাস কত প্রকার বা সামাজিক স্তরবিন্যাসের ধরন কয়টি সে সম্পর্কে।

মধ্যযুগে সম্পদের উৎস ভূমি হওয়ায় ভূমির পরিমাণ এবং সার্ফ বা ভূমিদাসের ও এর সামরিক শক্তির উপর নির্ভর করে আরেক ধরনের সামাজিক শ্রেণিবিভাগ গড়ে উঠেছিল; যেমন- ভূমির অধিকারের উপর নির্ভর করে রাজা, অভিজাত, পুরোহিত, ছোট সামন্ত, । কটার, ভূমিদাস ইত্যাদি আবার ভূমিদাস ও সামরিক শক্তির উপর নির্ভর করে রাজা, ডিউক, আর্ল, সামন্ত, ব্যারণ, নাইট ইত্যাদি।

৩. জাত বা জাতিবর্ণ (Caste)

জাত বা জাতিবর্ণ হলো একটি বদ্ধগোষ্ঠী। যখনই কোন গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে উত্তরাধিকার সূত্রে বিচার করা হয় তখনই তাকে নির্দিষ্ট জাত বা জাতিবর্ণে অভিহিত করা হয়। স্যার এডওয়ার্ডের মতে, জাত বা জাতিবর্ণ হচ্ছে অন্তর্বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ গোষ্ঠীসমূহ। জাত বা জাতিবর্ণের একটা সাধারণ নাম থাকে; জাত এর ব্যাপারটি বংশগত। জাতভুক্ত লোকদের সামাজিক আচরণ সম্পর্কে কতকগুলো বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। রিজলির মতে, জাতের বৈশিষ্ট্য হলো পূর্ব পুরুষের নিকট থেকে গৃহীত পেশায় নিয়োজিত থাকা। একই বিধিনিষেধের আবদ্ধতায় থাকা এবং সামাজিক আচার-আচরণে একই নীতি অবলম্বন করা।

সামাজিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার ভূমিকা আলোচনা কর

প্রাচীন শাস্ত্র গ্রন্থাদিতে জাত বা জাতিবর্ণ শব্দটির পরিবর্তে ‘বর্ণ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। বর্ণ শব্দটি সংস্কৃত ‘বৃ’ ধাতু হতে উৎপন্ন। ‘বৃ’ অর্থ ‘বরণ’- নির্বাচন, এক্ষেত্রে বৃত্তি বা পেশা নির্বাচন। এদিক থেকে বিচার করলে জাত বা জাতিবর্ণ বা বর্ণের সংজ্ঞা প্রধানত বৃত্তিমূলক ও গুণবাচক।

সমাজ বিবর্তনে বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীভুক্ত মানুষ বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত হয়ে পরে সমাজব্যবস্থায় ধর্মকর্ম ও বৃত্তি ভিত্তিক পরিচয় নির্দিষ্ট বংশজাতের মানদণ্ডে পরিণত হয়। এ মানদণ্ডের ভিত্তিতে বিভিন্ন বর্ণ বা জাত বা জাতিবর্ণের সৃষ্টি হয়।

সর্বপ্রথম পর্তুগীজরা ভারতবাসীকে বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বা বর্ণে বা রঙে দেখতে পেয়ে ‘কাস্তা’ (Casta) শব্দটি ব্যবহার করে। তাদের ভাষায় একই বংশোদ্ভূত একটি জনগোষ্ঠীই হলো একটি ‘কাস্তা’ (Casta)।

জাতিভেদ প্রথা অনুসারে সমাজে শ্রেণিবিভাগ গড়ে উঠেছে। এ শ্রেণিবিভাগের এক একটি শ্রেণির সাথে অপর শ্রেণির ব্যবধান লক্ষণীয়; যেমন- ক. জন্মসূত্রে জাতি নির্ণীত হয়, খ. সর্বঅর্জিত গুণের দ্বারা জাতি পরিবর্তন করা সম্ভবপর নয় এবং গ. বিবাহাদি সম্পর্ক জাতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তাছাড়া অন্যান্য সামাজিক আচার- আচরণে ভিন্ন জাতির পারস্পরিক সম্পর্কে নানারকম বাধানিষেধ রয়েছে। আজও আমাদের সমাজে জাতিভেদ প্রথা মেনে চলতে দেখা যায়। অনেককে বলতে শোনা যায় অমুক কোন বংশের ছেলে; অমুকের কুল ভালো নয়। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, জাতিভেদ প্রথায় আচার-আচরণ এবং বৃত্তিতে শুদ্ধ অশুদ্ধির মানদণ্ড প্রয়োগ করা হয় এবং ঐ মানদণ্ড দ্বারা জাতিতে জাতিতে পার্থক্য করা হয়।

হিন্দু সমাজ মর্যাদার ভিত্তিতে চার বর্ণে বিভক্ত-

ব্রাহ্মণ- পুরোহিত শ্রেণি,

ক্ষত্রিয়- যোদ্ধা শ্রেণি,

বৈশ্য- ব্যবসায়ী শ্রেণি,

শূদ্র- শ্রমজীবী শ্রেণি।

এ চার বর্ণের বাইরের লোককে বলা হয় ‘Schedule Caste’ এবং এরা অস্পৃশ্য। A. R Desai জাতিবর্ণ প্রথাকে হিন্দু সমাজের ‘Steel frame work’ বলে উল্লেখ করেন। Max Weber যথার্থই বলেছেন, “A caste is doubtlessly a closed status group.”

আপনারা পড়ছেন সামাজিক স্তরবিন্যাস কত প্রকার বা সামাজিক স্তরবিন্যাসের প্রকারভেদ সম্পর্কে

সামাজিক স্তর বিভাগ নির্ণয়ে এটি একটি প্রকরণ, যা ধর্মীয় অনুশাসনের মাধ্যমে একটি স্থায়ী সামাজিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

৪. শ্রেণি ও মর্যাদা গোষ্ঠী (Class and Status Group)

শ্রেণি (Class) এই প্রত্যয়টির আদি উৎসস্থল প্রাচীন রোম। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে সারভিয়াস তুলিয়াস – (Servius Tullius) [৫৭৮-৫৩৪ খ্রিস্টপূর্ব) নামে জনৈক রোমান নৃপতি অস্ত্র ধারণ করতে সক্ষম এমন রোমানদের নিয়ে একটি সেনাগোষ্ঠী গঠন করেন এবং এই সেনাদের তাদের নিজস্ব ধনসম্পত্তি (অর্থাৎ অস্ত্র, নিজস্ব অশ্ব ও শক্তি যোগান দেবার ক্ষমতা অনুযায়ী পাঁচটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেন। তবে ঐতিহাসিক বিশ্লেষণে আরো গভীর অনুসন্ধান করলে দেখা যায় যে, সমাজজীবনে শ্রেণির প্রথম আবির্ভাব ঘটে প্রাচীন ও মেসোপটেমিয়াতে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় ও চতুর্থ শতকে। ভারতবর্ষে ও চীনে শ্রেণির জন্ম হয় খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতকে। ইতিহাসের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বা শ্রেণির বিকাশ, শ্রেণি সংঘর্ষ ও শ্রেণি দ্বন্দ্বের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। মার্কসের পূর্বসূরিরা অনেকেই সমাজজীবনে শ্রেণির উপস্থিতি ও শ্রেণি বিভাজন সম্পর্কে বিশেষ অবহিত ছিলেন ও এদের রচনায় সেই বিশ্লেষণও তারা করে গেছেন।

পুঁজিবাদী অর্থনীতির প্রবক্তা এ্যাডাম স্মিথ ও ডেভিড রিকার্ডো সমাজে শ্রেণির উপস্থিতি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। তাঁদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সমাজ তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত- পুঁজিপতি, জমিদার ও শ্রমিক। তাদের মতে, সমাজে এই তিন শ্রেণির টি পার্থক্যের মূল কারণটি হলো যে, তাঁদের আয়ের উৎস বিভিন্ন। পুঁজিপতিরা মুনাফা অর্জন করে, জমিদার সংগ্রহ করে খাজনা ও শ্রমিকের আয়ের উৎসটি হলো মজুরি।

শ্রেণি সম্পর্কে তাঁদের চিন্তার অসম্পূর্ণতাটি তাঁদের প্রদত্ত ব্যাখ্যার দুটি দিকের প্রতি দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে-

এক. তাঁদের কাছে সমাজের এ শ্রেণি বিভাজন ও তার পরিণতিরূপে সামাজিক – অসাম্য ছিল যুক্তিসম্মত।

দুই. তাঁদের মতে, শ্রেণির উৎস হলো অসম আয় বণ্টন ব্যবস্থা।

মার্কসই প্রথম সমাজে শ্রেণির উদ্ভবের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রেণির চরিত্র সম্পর্কে একটি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করেন। তিনি যে নতুন অবদানটি রেখেছিলেন তা হলো যে, ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে উৎপাদন ব্যবস্থার বিকাশের সঙ্গে যে শ্রেণির অবস্থিতির প্রশ্নটি সম্পৃক্ত সেই সত্যটিকে প্রতিষ্ঠিত করা। শ্রেণির আলোচনাতে মার্কস বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে দেখালেন যে, সমাজজীবনে শ্রেণি চিরকাল ছিল না। উৎপাদন ব্যবস্থার বিকাশের একটি স্তরে ঐতিহাসিক কারণে শ্রেণির উদ্ভব হয়েছে।

শ্রেণির সংজ্ঞা: শ্রেণি বলতে আমরা বুঝি যে, কোন এক মূল্যবোধের উপর নির্ভরশীল একটি জনগোষ্ঠী যা অন্যান্য জনগোষ্ঠী থেকে আলাদা। সমাজে বিভিন্ন কারণে শ্রেণির উৎপত্তি ও বিকাশ হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে শ্রেণিবিভাগের মূল কারণ অনুসন্ধান করা কষ্টসাপেক্ষ। সেজন্য সামাজিক শ্রেণির সর্বজনীন কোন সংজ্ঞা নির্দেশ করা সম্ভব নয়। কারণ বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন শ্রেণির উৎপত্তি – হয়েছে। সে কারণে বিভিন্ন যুগে শ্রেণি সম্পর্কে ধারণাও ছিল ভিন্নতর ধরনের; যেমন- আদিম সমাজে যাদুকর, পুরোহিত, সম্পত্তির মালিক ও শ্রমবিভাগ ছিল সামাজিক শ্রেণিবিভাগের মূলভিত্তি। মধ্যযুগে ছিল সামন্তবাদী জমিদার গোষ্ঠী, ভূমিদাস এবং কৃষককুল। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পুঁজিপতি, কৃষক ও শ্রমিক – শ্রেণি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, সমাজব্যবস্থার কাঠামোর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শ্রেণির সংজ্ঞাও যেমন পরিবর্তিত হয়, আবার তেমনি নতুন নতুন শ্রেণিরও উদ্ভব ঘটে। সেজন্য বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী শ্রেণির সংজ্ঞা প্রদানকালে ভিন্ন ভিন্ন মত।নিম পোষণ করেন; যেমন- কার্ল মার্কস অর্থনৈতিক দিক থেকে শ্রেণির সংজ্ঞা দিয়েছেন, ম্যাকাইভার ও পেজ, জিসবার্ট, লা-পেয়ার মর্যাদার ভিত্তিতে উচ্চ-নিচ শ্রেণির ভিত্তি নির্দেশ করেছেন। আবার অনেকে ক্ষমতার উপর গুরুত্ব আরোপ করে শ্রেণির সংজ্ঞা নিরূপণ করার প্রয়াস পেয়েছেন।

অতএব, উপরোক্ত আলোচনা থেকে সামাজিক স্তরবিন্যাস কত প্রকার সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেলেন।

Related Posts

1 comment

Comments are closed.