অপেক্ষক
দুই বা ততোধিক চলকের মধ্যে নির্ভরশীলতার সম্পর্ক প্রকাশের একটি গাণিতিক পদ্ধতিকে অপেক্ষক (Function) বলে। অর্থাৎ দুই বা ততোধিক চলক যখন পারস্পরিক বিশেষ সম্পর্কে আবন্ধ হয় তখন তার গাণিতিক প্রকাশকে অপেক্ষক বলে। অর্থনীতিতে বিভিন্ন চলক একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকে। ফলে একটি চলকের মান অন্য চলকের মানের ওপর নির্ভর করে এবং একটি চলকের মানের পরিবর্তন হলে অপর চলকের মান পরিবর্তিত হয়। এভাবে যে চলকের মান স্বাধীন থাকে অর্থাৎ অন্য চলকের মানের ওপর নির্ভর না করে স্বাধীনভাবে নিজে যেকোনো মান গ্রহণ করতে পারে সেগুলোকে স্বাধীন চলক বলে এবং যে চলকের মান অন্য চলকের মানের ওপর নির্ভরশীল থাকে তাকে অধীন বা নির্ভরশীল চলক বলে। সুতরাং স্বাধীন চলক এবং অধীন চলকের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক যে সমীকরণের সাহায্যে প্রকাশ করা হয় তাই হলো অপেক্ষক। যেমন- এখানে,
Y = f(x)
এখানে,
Y = অধীন বা নির্ভরশীল চলক।
x = স্বাধীন চলক
f-Function বা অপেক্ষক।
চাহিদার নির্ধারক সমূহ কি কি? – আলোচনা কর |
চাহিদা অপেক্ষক
চাহিদা বিধির গাণিতিক প্রকাশকে চাহিদা অপেক্ষক বলা হয়। কোনো দ্রব্যের চাহিদা দ্রব্যটির দাম, অন্যান্য দ্রব্যের দাম, ভোক্তার আয়, রুচি ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে। অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে কোনো নির্দিষ্ট দামে ক্রেতা যে পরিমাণ দ্রব্য ক্রয় করে, তাকে চাহিদা বলে। চাহিদা ও দামের পরস্পর নির্ভরশীলতা চাহিদা অপেক্ষক নামে অভিহিত হয়। চাহিদা বিধিকে যে সাংকেতিক চিহ্ন বা সমীকরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়, তাই চাহিদা অপেক্ষক। সাধারণভাবে চাহিদা অপেক্ষককে নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা হয়-
Qd = ƒ(P, Y, T, W, N, Ps …)
এখানে, Qd = চাহিদার পরিমাণ, ƒ = অপেক্ষক, P= দ্রব্যের দাম, Y = আয়, T= ভোক্তার রুচি, W = সম্পদের পরিমাণ, N = ক্রেতার সংখ্যা, Ps = পরিবর্তক বা পরিপূরক দ্রব্যের দাম।
এক্ষেত্রে চাহিদার অন্যান্য নির্ধারক স্থির থাকলে শুধু দাম (P) এর পরিবর্তন ধরলে চাহিদা অপেক্ষকটি হবে নিম্নরূপ-
Qd = f(P)
এখানে, Qd = চাহিদার পরিমাণ, P= দ্রব্যের দাম, ƒ = অপেক্ষক।
যেখানে দ্রব্যের দাম (P) এর পরিবর্তনে চাহিদার পরিমাণ (Qd) পরিবর্তিত হবে। অর্থাৎ দামের (P) সাথে চাহিদার (Qd) পরিমাণের নির্ভরশীলতার সম্পর্ক রয়েছে। দামের সাথে চাহিদার পরিমাণের এ নির্ভরশীলতার সম্পর্কের গাণিতিক প্রকাশকে চাহিদা অপেক্ষক বলা হয়।
চাহিদা রেখা ডানদিকে নিম্নগামী হয় কেন? – ব্যাখ্যা কর |