বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সমস্যা
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সমস্যা গুলো নিম্নরূপ-
১. শুল্কবাধা ও প্রতিবন্ধকতা: বাংলাদেশে তৈরী পোশাক শিল্পের উপর বিভিন্ন ধনীদেশ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ইইউভুক্ত দেশসমূহ নানারূপ শুল্ক ও অশুল্ক বাধা আরোপ করছে। জনবহুল উন্নয়নশীল দেশে শুল্ক বাধা ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা পোশাক শিল্পের উৎপাদনের গতিকে মন্থর করে দিচ্ছে।
২. কাঁচামালের অভাব: বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের বড় সমস্যা হলো পর্যাপ্ত পরিমাণের কাঁচামালের অভাব। এছাড়া আমদানিকৃত কাঁচামালও নিম্নমানের। এর ফলে পোশাক শিল্পের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
৩. দক্ষ শ্রমিকের অভাব: এদেশে এ শিল্পে কর্মরত ৮০ শতাংশ শ্রমিকই গ্রাম থেকে আগত অশিক্ষিত ও অনভিজ্ঞ মহিলা। দক্ষ শ্রমিকের অভাবে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের গুণগত মান অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।
কৃষি ঋণ কি? কৃষকরা কেন ঋণ গ্রহণ করে? |
৪. অন্যান্য দেশে বস্ত্র শিল্পের উন্নয়ন: বিশ্বের অনেক দেশই বস্ত্র শিল্পের উন্নতি সাধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাণিজ্যের অংশবিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। এভাবে তৈরী পোশাক প্রতিযোগিতামূলকভাবে রপ্তানি করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। না।
৫. নিম্নমানের পোশাক: বাংলাদেশে যে পোশাক তৈরি হচ্ছে তা অনেক ক্ষেত্রে বিদেশিদের অর্ডার ও চুক্তিমাফিক হয় ফলে আমদানিকারক দেশ তা গ্রহণ করে না, এমনকি ভবিষ্যৎ অর্ডারও মাঝে মাঝে এ কারণে বাতিল হয়ে যায়।
৬. কারিগরি দক্ষতার অভাব: এ দেশের পোশাক শিল্পের কারিগরি দক্ষতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
৭. বিদ্যুৎ সরবরাহে অনিশ্চয়তা: এ দেশে বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে পোশাক শিল্পের উৎপাদন ও উন্নয়ন যথেষ্ট বাধাপ্রাপ্ত হয়।
৮. রপ্তানি পোশাকের আইটেম কম: বাংলাদেশ শুধুমাত্র ৮ থেকে ১২টি আইটেম তৈরী পোশাক রপ্তানি করে। কিন্তু ভারত ১৮টি, হংকং ৬৫টি, চীন ৫৬টি, তাইওয়ান ৫৩টি আইটেম-এর তৈরী পোশাক রপ্তানি করে। আন্তর্জাতিক বাজারে ১১৫-১২০ আইটেমের তৈরী পোশাকের চাহিদা রয়েছে।
৯. আর্থিক ঋণ সুবিধার অনুপস্থিতি: বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের দ্রুত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হলেও তার পর্যাপ্ত পরিমাণে অভাব রয়েছে।
১০. কাজের প্রতিকূল পরিবেশ: এ দেশের পোশাক শিল্প কারখানাগুলোতে শ্রমিকদেরকে আলো বাতাসহীন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে একসঙ্গে গাদাগাদি হয়ে কাজ করতে হয়। ফলে শ্রমিকদের উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায় ও স্বাস্থ্যহানি ঘটে। কারখানার মূল দরজা বন্ধ থাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় অনেক শ্রমিক দুর্ঘটনায় পড়ে মারা যায়। এছাড়া শ্রমিকদের জন্য স্বীকৃত কর্মসময়ও এখানে প্রায় অনুসরণ করা হয় না।
১১. উৎপাদন ক্ষমতার অপূর্ণ ব্যবহার: পোশাক শিল্পে প্রয়োজনীয় উপকরণের স্বল্পতা, অনিয়মিত সরবরাহ, বিদ্যুৎ সংকট, বন্দরের নানা সমস্যা এবং রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি কারণে উৎপাদন ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার হয় না।
১২. পরিপূরক শিল্পের বিকাশ: ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়াসহ ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে সম্মুখ ও পশ্চাৎ সংযোগ শিল্প তথা পরিপূরক শিল্পের বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন।
১৩. দেশি বিদেশি ইনডেনটিং ফার্ম/এজেন্টের মনোভাব: এদেশের পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ও পোশাক আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশি ও বিদেশি দালাল বা এজেন্টরা মধ্যস্থতা করে। এজেন্টরা উভয় ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করে বলে আমদানি ও রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যয় পড়ে বেশি। এ অবস্থায় পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা মানসিকভাবে বিভিন্ন যন্ত্রণায় ভোগে। অনেক উদ্যোক্তা এজন্য অন্য ব্যবসায় পা বাড়াচ্ছে।
১৪. রপ্তানিতে বিলম্ব: বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রাপ্তিতে বিলম্ব, পরিবহন জটিলতা, শুল্কের ঝামেলা প্রভৃতি কারণে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি করতে বিলম্ব হয়। ফলে এসব কারণে অনেক সময় আমদানিকারকগণ তাদের অর্ডার বাতিল করে থাকে।
১৫. অবাধ বাণিজ্যের প্রভাব: বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহের নিকট থেকে জেনারালাইজড সিস্টেমস্ অব প্রেফারেন্স (G. S. P) সুবিধা প্রাপ্তির পরও ২০০৫ সাল থেকে অবাধ বাণিজ্য চালু হওয়ার প্রেক্ষিতে বৃহৎ বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য চাহিদা সৃষ্টিকারী দেশ ও অঞ্চলে বাংলাদেশকে তীব্র প্রতিযোগিতায় পড়তে হয়। ইতোমধ্যে ২০১৩ সালের জুন মাস হতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি তৈরী পোশাক পণ্যের GSP সুবিধা প্রত্যাহার করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে কারখানার পরিবেশ উন্নয়ন, শ্রম নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকারসহ তাদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন শর্ত আরোপ করে।
১৬. ব্র্যান্ডিং-এর সমস্যা: বাংলাদেশের পোশাক উন্নতমানের, চমৎকার ফ্যাশন, সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করা, তুলনামূলক স্বল্প ব্যয়ে পাওয়া যায়, এরূপ গুণাবলির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিং করা হয়নি।
১৭. শ্রমিক অসন্তোষ: বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মধ্যে প্রায়ই বেতন বৃদ্ধি, কর্মসময় নির্ধারণ, শ্রমিক সংঘ তৈরিসহ বিভিন্ন কারণে অসন্তোষ বিরাজ করে। ধর্মঘট, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন ইত্যাদি কারণে শ্রমিক অসন্তোষ প্রায় লেগে থাকে। এ কারণে উৎপাদন প্রায় ব্যাহত হয়।
১৮. রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা: রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণেও বাংলাদেশ পোশাক শিল্প ক্রেতা হারাচ্ছে। এক্ষেত্রে সময়মতো অর্ডার যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
উপরের আলোচনা থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প একটি সম্প্রসারণশীল শিল্প হলেও এ শিল্পে কম বেশি বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যার কারণে সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
পোশাক শিল্পের সমস্যার সমাধান
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির একটি বৃহৎ অংশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পোশাক শিল্পের অবদান আরও বাড়াতে হলে এ শিল্পের বিদ্যমান সমস্যাসমূহ দূর করতে হবে। পোশাক শিল্পের সমস্যা সমাধান করার জন্য নিম্নের ব্যবস্থাবলি গ্রহণ করা যেতে পারে।
১. প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থার সুযোগ আহরণ: আমদানিকারক দেশ বর্তমানে কোটামুক্ত বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির উপর আমদানি শুল্কের হার যাতে নমনীয় করে সে বিষয়ে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণ করে কার্যকর সম্পর্ক স্থাপন এবং নতুন নতুন আইটেমের পোশাক রপ্তানির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।
২. প্রতিযোগিতামূলক উৎপাদন পদ্ধতি: গ্রহণ প্রতিযোগী দেশ কোন আইটেম উৎপন্ন করে এবং ঐ পণ্যের মানের প্রতি খেয়াল রেখে এ দেশের পোশাক উৎপন্ন করার প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
৩. নতুন বাজার অনুসন্ধান: বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান করতে হবে। নতুন বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাজার গবেষণা করতে হবে। ইতোমধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, চীন, তুরস্ক, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, মেক্সিকো, ব্রাজিল, চিলি এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন বাজার হিসেবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প স্থান করে নিয়েছে।
৪. কারিগরি উন্নয়ন: পোশাক শিল্পের সমস্যাসমূহ দূরীভূত করার জন্য অন্যান্য ব্যবস্থার সাথে সাথে শিল্পের কারিগরি উন্নতির প্রয়োজন। বিদেশি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার সাথে সাথে এদেশে উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. পণ্যের উন্নত মান নির্ধারণ: আন্তর্জাতিক বাজারে যাতে দেশীয় তৈরী পোশাক বেশি পছন্দনীয়, আকর্ষণীয় এবং বৈচিত্র্যময় হয় সেজন্য বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের মান উন্নত ও বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্যময় পোশাক উৎপাদন করতে হবে। ইতোমধ্যে বিশ্বে সর্বোচ্চ পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় এবং ইউরোপে ২৫ বছর পর ২০১১ সালে শীর্ষে পৌঁছেছে।
৬. শিল্প শ্রমিক প্রশিক্ষণ: বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিক কম শিক্ষিত ও অদক্ষ। এই অশিক্ষা এবং অদক্ষতা দূরীকরণে প্রাথমিক অবস্থায় প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
৭. পোশাকের আইটেম বৃদ্ধি: বিদেশের বাজারে প্রায় ১২০ রকমের পোশাকের চাহিদা রয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ শুধুমাত্র ৮-১২টি আইটেম রপ্তানি করতে পারে। তাই বাংলাদেশের পোশাকের আইটেম বৃদ্ধি করতে পারলে অতিরিক্ত রপ্তানি থেকে জাতীয় আয়ে একটি বৃহত্তর অংশ সংযুক্ত হবে।
কৃষি পণ্যের বিপণন কি? বাংলাদেশে কৃষি পণ্যের বিপণন সমস্যা |
৮. দেশীয় কাঁচামাল উৎপাদন বৃদ্ধি: উচ্চ মূল্যে কাঁচামাল আমদানি না করে পোশাক তৈরির জন্য সুতা, তুলা, রং ইত্যাদি প্রয়োজনীয় উপাদান দেশীয়ভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করলে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পাবে। ফলে কম মূল্যে বিদেশে রপ্তানি বৃদ্ধি করা যায়।
৯. কর্মনৈপুণ্যতা বৃদ্ধি: শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি করলে তার সাথে তাদের কাজের দক্ষতা ও কর্মনৈপুণ্যতা বৃদ্ধি পায়। একই সাথে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ নিরাপদ ও উন্নত করা, সুস্থ সংগঠন করার অধিকার ও মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশি শ্রমিক বিশ্ববাজারে পোশাক শিল্পখাত হতে সুনাম ও সম্মান বয়ে আনবে।
১০. পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধা প্রদান: এদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক ঋণ সুবিধা প্রদান অত্যাবশ্যক।
১১. এজেন্টদের দৌরাত্ম্য হ্রাসকরণ: দেশি বিদেশি মধ্যস্থ কারবারি ও এজেন্টদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। এর ফলে উৎপাদনকারিগণ উপকৃত হবে।
১২. স্বায়ত্তশাসিত ব্যুরো গঠন: বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বহুমুখী করার লক্ষ্যে একটি স্বায়ত্তশাসিত ব্যুরো গঠন করা দরকার।
১৩. বিদেশি উদ্যোক্তাদেরকে সুবিধা প্রদান: বিদেশি উদ্যোক্তাদের দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগে পর্যাপ্ত সুযোগ প্রদান করা প্রয়োজন। এর ফলে এদেশের পোশাক শিল্প আরও দ্রুত বিকশিত হবে।
১৪. সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ: এদেশের উৎপাদনকারিগণকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পোশাক শিল্পের বিভিন্ন সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা প্রয়োজন।
১৫. সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ: বাংলাদেশের তৈরী পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ একই সঙ্গে কাজ করলে রপ্তানির পরিমাণ প্রসারিত হবে।
১৬. রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিতকরণ: ইতোমধ্যে চীনসহ কয়েকটি দেশ পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে কর মুক্ত বা ব্যাপক হারে কর হ্রাস করেছে। তাই বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকার অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করে রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে পারে।
১৭. গবেষণা: পোশাক শিল্পের উন্নতির জন্য গবেষণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, শ্রমমজুরি নির্ধারণ, মূল্য ইত্যাদি সম্পর্কে পূর্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।
১৮. ব্র্যান্ডিং-এর প্রচেষ্টা: বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের চমৎকার ফ্যাশন, বিভিন্ন প্রকারের পোশাক, গুণগতমান উন্নত, সস্তায় প্রাপ্তি, সময়মতো সরবরাহ-এরূপ গুণাবলির কারণে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত হলে এখাত হতে রপ্তানি আয় বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
১৯. বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ: সরকার ও দেশের জনগণ সম্মিলিতভাবে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ উন্নত, সার্বজনীন ও আন্তর্জাতিকভাবে বিনিয়োগবান্ধব করার জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ জরুরি। উন্নয়ন মনস্ক জাতি কখনো দরিদ্র বা পরনির্ভরশীল থাকতে পারে না।
উপরের ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করা হলে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের সমস্যা বহুলাংশে সমাধান করা সম্ভব।