278
সমন্বয় দাখিলা ও সমাপনী দাখিলার মধ্যে পার্থক্য
সমন্বয় দাখিলা ও সমাপনী দাখিলা দুটি পৃথক বিষয়। কোনো নির্দিষ্ট হিসাবকাল শেষে প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত হিসাব প্রণয়নের প্রাক্কালে আয় ব্যয় সম্পদ ও দায়ের পরিমাণ সঠিক অংকে পরিণত করার জন্য যে দাখিলার প্রয়োজন হয় তাকে সমন্বয় দাখিলা বলে। অপরপক্ষে হিসাব বইয়ের মুনাফাজাতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাবসমূহ বন্ধ করার জন্য যে দাখিলার প্রয়োজন হয় তাকে সমাপনী দাখিলা বলে।
সমন্বয় দাখিলা কি? সমন্বয় দাখিলার সুবিধা ও প্রকারভেদ আলোচনা |
নিচে সমন্বয় ও সমাপনী দাখিলার মধ্যে পার্থক্য বর্ণিত হলো:
পার্থক্যের বিষয় | সমন্বয় দাখিলা | সমাপনী দাখিলা |
১. দাখিলা দেয়ার সময় | সমাপনী দাখিলার পূর্বে এ দাখিলা দিতে হয়। | সমন্বয় দাখিলার পর এ দাখিলা দিতে হয়। |
২. প্রভাব | এ দাখিলার ফলে আয় ও ব্যয়ের প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারিত হয় যা হিসাবকালের সঠিক লাভ-লোকসান নির্ণয়ে সাহায্য করে। | এ দাখিলার ফলে খতিয়ানের নামিক হিসাবগুলো বন্ধ হয়ে যায়। |
৩. বিষয়বস্তু | রেওয়ামিলের বহির্ভূত বিষয়সমূহের জন্য এ দাখিলা দেয়া হয়। | রেওয়ামিলের অন্তর্ভুক্ত ও বহির্ভূত উভয় বিষয়সমূহের জন্য এ দাখিলা দেয়া হয়। |
৪. ফলাফল | এ দাখিলার ফলে হিসাবকালের সকল আয়-ব্যয় যথাযথভাবে হিসাবভুক্ত হয়ে মুনাফা বা লোকসান নির্ণীত হয়। | এ দাখিলার ফলে সংশ্লিষ্ট হিসাববর্ষের সকল নামিক হিসাব বন্ধ হয়ে যায়। |
৫. ক্রয়-বিক্রয় হিসাব এবং লাভ-লোকসান হিসাব | আধুনিক নিয়মে কখনো সমন্বয় দাখিলার ক্রয়-বিক্রয় হিসাব এবং লাভ লোকসান হিসাব ব্যবহার হয় না। | সমাপনী দাখিলার অবশ্যই একটি হিসাব ক্রয়-বিক্রয় হিসাব অথবা লাভ লোকসান হিসাব হবে। |
৬. কারবারের অবসায়ন | কারবারের অবসায়নের সময় এ দাখিলার প্রয়োজন হয় না। | কারবার অবসায়নের সময় এ দাখিলার প্রয়োজন হয়। |
উপরিউক্ত পার্থক্যের আলোকে পরিশেষে বলা যায় যে, যদিও সমন্বয় দাখিলা এবং সমাপনী দাখিলার মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান তথাপি উভয়ই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত হিসাব প্রণয়নে উভয়ই সাহায্য করে থাকে।
মূলধন জাতীয় আয় ও মুনাফা জাতীয় আয়ের পার্থক্য দেখাও |