মাশরুম চাষ পদ্ধতি – শীতকাল আসলেই মাশরুম চাষের ধুম পড়ে যায়। এসময় মাশরুম স্পন উৎপাদনকারীরা ব্যস্ত থাকেন গ্রাহকদের চাহিদামত মাশরুম স্পন তৈরিতে আর মাশরুম চাষীরা সেসব স্পন বা বীজ নিয়ে খড়ের প্যাকেটে চাষ করেন মাশরুম। এতে ঘরে বসে অনেকেই স্বাবলম্বী হতে পারছেন। আজকের লেখায় নিজের সম্পূর্ণ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মাশরুম চাষে পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরবো। কারণ, আমার কাছে অনেকেই মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।
এর আগে মাশরুমের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে একটি লেখা লিখেছি। আপনারা চাইলে সেই লেখাটিও দেখে আসতে পারেন। আর জানতে পারবেন মাশরুমের ১৫টি উপকারিতার কথা। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল আলোচনা শুরু করি।
মাশরুম চাষ পদ্ধতি
মাশরুম কি সে সম্পর্কে আগের লেখায় লিখেছি। এখানে আর তুলে ধরলাম না। আপনারা আগের লেখাটি থেকে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। সরাসরি মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করি।
মাশরুম চাষে কি কি উপকরণ লাগে?
- মাশরুম বীজ বা স্পন
- খড়
- পলিথিন (মাঝারি/বড় সাইজ)
- চুন
- ড্রাম/বড় পাত্র
- লাকড়ি/গ্যাস/কয়লা
- রাবার ব্যান্ড
- পানি স্প্রে মেশিন
- একটি ঘর
প্রথম পদক্ষেপ: মাশরুম বীজ অর্ডার/সংগ্রহ
মাশরুম চাষের জন্য প্রথম পদক্ষেপ বা প্লান নিতে হবে মাশরুম বীজ কোথা থেকে সংগ্রহ করবেন। আপনার আশপাশে যদি কেউ মাশরুম বীজ বা স্পন তৈরি করে তবে তাদের থেকে নিতে পারেন। এছাড়া কুরিয়ারেও আপনারা মাশরুম বীজ নিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে মাশরুম বীজ নষ্ট হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত মাশরুম বীজ উৎপাদনকারীরা আগাম অর্ডার নিয়েই তবে বীজ উৎপাদন করে থাকে। তাই আপনাকে প্রথমে ঠিক করে নিতে হবে আপনি কতগুলো স্পন বা বীজ নিবেন। এরপর সে অনুযায়ী বীজ উৎপাদনকারীদের এডভান্স দিয়ে অর্ডার করে রাখতে পারেন। সাধারণত বীজ উৎপাদনকারীরা ৩০-৪৫ দিন সময় নেন বীজ ডেলিভারি দেয়ার সময় হিসেবে। এই একমাসে আপনি মাশরুমের জন্য একটি আলাদা ঘর এবং অন্যান্য উপকরণগুলো সংগ্রহ করে প্রস্তুত হয়ে থাকতে পারবেন।
দ্বিতীয় পদক্ষেপ: মাশরুম ঘর তৈরি
মাশরুম চাষের জন্য আপনার দ্বিতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো মাশরুম চাষের জন্য একটি আলাদা ঘর তৈরি করা। এক্ষেত্রে এমন জায়গা চিহ্নিত করতে হবে যে জায়গাটি আধো আলো – আধো ছায়া জায়গায় অবস্থিত। অর্থাৎ মাশরুম ঘরের জায়গায় খুব বেশি যাতে রোদ না পড়ে এরকম জায়গা নির্বাচন করতে হবে। কারণ মাশরুম উৎপাদনের জন্য একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও শীতলতার প্রয়োজন হয়। তাই ঘরটিতে টিনের বদলে শন দিতে পারলে ভালো হয়। কারণ শনের ঘরের ভেতর বেশ ঠান্ডা থাকে। যদি টিনের ঘর হয় সেক্ষেত্রে ভেতরে টিনের ঠিক নিচে মাচা দিতে পারলে ভালো হয়। তাতে টিনের গরম সরাসরি মাটিতে এসে লাগে না। এবং ঘর শীতল থাকে। এছাড়া ঘরের বেড়াগুলোও এমনভাবে দিতে হবে যাতে সূর্যের আলো ভেতের না আসতে পারে। সেজন্য চট বা বস্তা ব্যবহার করতে পারেন, যেগুলোতে পানি ছিটিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখা যাবে। আর ঘরের মধ্যে বাতাস চলাচলের সুবিধার্থে নিচে এক হাত মতন জায়গা খালি রাখতে হবে যাতে মাশরুম ঘরে উৎপন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইডগুলো বাতাস প্রবাহের সাথে বের হয়ে যেতে পারে।
তৃতীয় পদক্ষেপ: খড় সংগ্রহ ও বিশোধন
খড় সংগ্রহ
মাশরুম চাষ পদ্ধতি এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো প্রয়োজনীয় খড় সংগ্রহ করা ও তা সঠিকভাবে বিশোধন ও জীবাণুমুক্ত করা। আমার হিসাবে প্রতি ১০০ টা (২৫০ গ্রাম) বীজের জন্য এক কানির মতন খড় লাগে। তাই আপনি কতটি বীজ বা স্পন নিয়ে কাজ করবেন তা হিসাব করে আগে থেকেই খড় সংগ্রহ করে রাখতে হবে। তবে খড় সংগ্রহের ব্যাপারে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, আপনারা নতুন ও পুরাতন উভয় খড়ই ব্যবহার করতে পারেন। এতে সুবিধা-অসুবিধার কিছু পার্থক্য থাকলেও মাশরুম উৎপাদনে কোনো সমস্যা হয় না। নতুন খড় নিলে সিদ্ধ বা বিশোধন করার পর প্যাকেজিংয়ে বেশ সমস্যা করে। যেহেতু এগুলো নতুন ও তরতাজা খড় হয় তাই বেশ শক্ত হয়। যার ফলে প্যাকেজিংয়ে চাপ দেয়ার সময় হাতে ঘা হতে পারে এবং প্যাকেট ছিঁড়েও যেতে পারে। নতুন খড় হলে তাই আগেভাগেই ১-২ ইঞ্চি করে ছোট ছোট করে কেটে নিতে হয়। অন্যদিকে পুরাতন খড় হলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। এগুলো বেশ নরম-সরম হওয়ায় ভালোভাবে প্যাকেজিং করা যায়। আর ছোট ছোট করে কাটার প্রয়োজনও পড়ে না।
খড় বিশোধন
খড় বিশোধন বা জীবাণুমুক্তকরণ আপনার দুই ভাবে করতে পারেন। আমি দুটো পদ্ধতিই প্রয়োগ করে দেখেছি। দুটোতেই ভালো ফলাফল পেয়েছি। তবে সিদ্ধ করার চেয়ে খড় জীবাণুমুক্তকরণ বেশ সহজ ও ভালো বলে মনে হয়েছে। কারণ সিদ্ধ করার জন্য আপনার অনেক লাকড়ি, বড় ড্রামসহ অনেক পরিশ্রম করতে হয়। অন্যদিকে খড় জীবাণুমুক্তকরণে তুলনামূলক কম পরিশ্রমের প্রয়োজন পড়ে। খড় সিদ্ধ যদি করেন তবে বেশি উত্তপ্ত পানিতে সিদ্ধ করা যাবে না। এর জন্য সঠিক তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। এটা আমার কাছে বেশ ঝামেলার মনে হয়েছে। তার চেয়ে দ্বিতীয় পদ্ধতিটা বেশ ভালো।
দ্বিতীয় পদ্ধতিতে আমি শুধুমাত্র চুন ব্যবহার করেছি খড় জীবাণুমুক্তকরণে। চাইলে আপনারা অন্য জীবাণুনাশকও ব্যবহার করতে পারবেন। কিভাবে চুন দিয়ে খড় বিশোধন করবেন সে সম্পর্কে একটি ভিডিও দিচ্ছি দেখে নিতে পারবেন।
এভাবে খড় বিশোধনের জন্য আপনারা মাটিতে গর্ত করে তাতে পলিথিনে বিছিয়ে পানি ঢেলে তাতে চুন দিয়ে ভালোমতো নাড়িয়ে নেবেন যাতে চুনগুলো পানিতে মিশে যায়। ঠিক কি পরিমাণ চুন দিতে হবে তার অনুপাত সঠিকভাবে বলতে পারবো না। তবে আপনারা একটা আন্দাজ করে দিবেন। বেশি লাগে না। চুন দেয়ার পরে পানিটা দেখলেই বুঝতে পারবেন কতটা দিতে হবে। এছাড়া আপনি বড় চৌবাচ্চা বা পানির ট্যাংক ব্যবহার করেও এই কাজটি করতে পারবেন। যদিও ১০-১২ ঘণ্টা খড় ভিজিয়ে রাখলে হয়, তারপরও আমি ২৪ ঘণ্টার মতন ভিজিয়ে রেখেছিলাম জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করার জন্য।
খড় শুকানো
আপনি খড় সিদ্ধ বা চুনের পানিতে চুবিয়ে রাখেন, যাই করেন না কেন আপনাকে খড়গুলো শুকাতে হবে। তবে শুকানোরও একটা পদ্ধতি আছে। খড়গুলো ভেজা ভেজা থাকবে, কিন্তু চাপ দিলে পানি বের হবে না এইরকম খড়ই হচ্ছে মাশরুম প্যাকেজিংয়ের জন্য উপযুক্ত খড়। এখানেও একটি ভিডিও দিচ্ছি তা দেখে নিতে পারেন।
চতুর্থ পদক্ষেপ: প্যাকেজিং
এবার আসি মাশরুম প্যাকেট তৈরির কাজে। আপনি যদি মাঝারি সাইজের পলিথিন নেন সেক্ষেত্রে একটা ২৫০ গ্রামের বীজ সমান দুভাগ করে দুইটা প্যাকেজে দিতে পারেন। আর বড় সাইজের পলিথিন হলে একটা বীজ দিয়ে একটাই তৈরি করবেন। উভয় ক্ষেত্রে বীজকে সমান তিনভাগে ভাগ করে ছোট ছোট টুকরায় ভাগ করবেন। গুড়া করবেন না। তাতে অনেকসময় মাশরুম গজাতে সমস্যা হয়।
এরপর প্যাকেটটা নিয়ে ৪ স্তরের খড় এবং তিন স্তরের মাশরুম বীজের টুকরা দিতে হবে। অর্থাৎ
খড় – স্পন – খড় – স্পন – খড় – স্পন – খড়
একটা ভিডিও দিচ্ছি তা দেখুন
এভাবে তৈরি করতে হবে। আরেকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা সঠিকভাবে না হলে মাশরুমের মা-টাও গজাবে না, তা হলো, প্যাকেজিংয়ের সময় খুব চাপ দিয়ে তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ বাতাস শূন্য যতটা সম্ভব করা যায়, তত ভালো। চাপ দিয়ে দিয়ে খড় ভরতে হবে এবং শেষ বেলায় খুব চাপ দিয়ে টাইট করে রাবার ব্যান্ড দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। এরপর প্রতিটা প্যাকেটে ৮-১০ টা করে ছিদ্র করে রেখে দিতে হবে।
পঞ্চম পদক্ষেপ: পানি স্প্রে
অনেকেই কনফিউশনে থাকেন যে কখন কখন পানি স্প্রে দিতে হবে। প্যাকেজিংয়ের পরপরই কি পানি স্প্রে দিতে হবে নাকি মাশরুমের পিনহেড বেরোনোর পর পানি স্প্রে দিতে হবে। এই নিয়ে অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন। তাদের জন্য বলি, মাশরুম প্যাকেজিং করার পর কোনো পানি স্প্রে দেয়ার প্রয়োজন নেই। প্যাকেজিংয়ের ৭-১০ দিন পর পুরো প্যাকেটটা সাদা হয়ে যাবে অর্থাৎ পুরোটাই তখন আরকটা স্পন বা বীজে পরিণত হবে। এরপর ১৫-২০ দিনের মাথায় ছিদ্রগুলো দিয়ে মাশরুমের ছোট ছোট পিনহেডগুলো বেরোতে শুরু করবে। মাশরুমের পিনহেডগুলো বেরোনো শুরু করলে তবেই পানি স্প্রে দিতে হবে দিনে দুইবার বা তিনবার। অর্থাৎ আপনার মাশরুম ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী। যদি খুব বেশি গরম থাকে তবে তিনবার স্প্রে দিবেন। আর স্প্রে দিবেন মাশরুমের পিনহেড এবং বাড়ন্ত মাশরুমের উপর। এতে মাশরুম দ্রুত বাড়তে থাকে। পিনহেড বেরোনোর ২-৩ দিন পর মাশরুম খাওয়ার উপযোগী হয়। অনেকে প্রশ্ন করেন স্প্রেতে কোনো ঔষুধ দেয়া লাগে কিনা। না ভাই। এটা সম্পূর্ণ অর্গানিক। যদি ঔষুধই স্প্রে দেয়া লাগবে, তবে সেটা আপনি খাবেন কিভাবে। সেটাতো বিষে পরিণত হবে। মাশরুম স্প্রেতে কোনো ঔষধের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র পানি স্প্রে দিলেই হবে।
ষষ্ঠ পদক্ষেপ: মাশরুম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ
সাধারণত মাশরুম প্যাকেজিংয়ের এক মাসের মধ্যেই মাশরুম বাজারজাতকরণের উপযুক্ত হয়। কৃষিতে আর তেমন কোনো ফসল নেই যা চাষের এক মাসের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। এদিক দিয়ে মাশরুম চাষ বেশ ইতিবাচক। মাশরুম বাজারজাতকরণের উপযুক্ত হয়ে গেলে তা সংগ্রহ করে নিতে হবে। বেশিদিন ফেলে রাখলে মাশরুম নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সঠিক সময়ে মাশরুম সংগ্রহ করে বাজারজাতকরণ করতে হবে। তবে অনেকেই মাশরুম শুকিয়ে বা গুড়া করে প্যাকেটজাত করে রাখেন দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখার জন্যে। আমি অবশ্য এটা ট্রাই করে দেখিনি। আপনারা চাইলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
মাশরুম চাষে আয়-ব্যয় হিসাব
মাশরুম চাষ পদ্ধতি তো জেনে গেলাম। এবার আসি মাশরুম চাষে কি পরিমাণ আয় বা ব্যয় হয় অর্থাৎ মাশরুম চাষ কতটা লাভজনক সে সম্পর্কে জেনে নিই।
আপনি যদি একটা স্পন থেকে দুইটা প্যাকেট তৈরি করেন। সেক্ষেত্রে ১০০ টা স্পন নিলে আপনার প্যাকেট হবে ২০০ টা। ২০০ টা প্যাকেট থেকে আপনাকে ১০% অর্থাৎ ২০ টা প্যাকেট বাদ দিতে হবে। কারণ কোনো ফসলই ১০০% ফলন দিবে না। বিভিন্ন কারণে এগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বীজের কারণে, বা প্যাকেজিং সমস্যার কারণে বা পরিবেশ/আবহাওয়ার কারণে। তাহলে আমাদের হিসাব করতে হবে ১৮০ টা প্যাকেট নিয়ে।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি প্রথম হার্ভেস্টিংয়েই একটা প্যাকেট থেকে মিনিমাম আধা কেজি মাশরুম পাওয়া যায়। কখনো এটা ৩ পোয়ার কাছাকাছিও হয়ে থাকে। তবে আধা কেজিই ধরে নিলাম। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় হার্ভেস্টিংয়েও মাশরুম পাবেন এসব প্যাকেটগুলো থেকে। ধরে নিলাম একটা প্যাকেট থেকে সর্বমোট ৩ পোয়া মাশরুম পাওয়া যাবে। সে হিসেবে আপনি ১৮০ টা প্যাকেট থেকে ৫৪০ পোয়া বা ১৩৫ কেজি মাশরুম হার্ভেস্টিং করতে পারবেন। এটা সর্বনিম্ন হিসাব। এর চেয়ে বেশি পাবেন তা নিশ্চিত।
বাজারে অফ সীজনে অর্থাৎ আগাম বাজার ধরতে পারলে এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) মাশরুম ১০০-১৫০ টাকা বিক্রি হয়। সীজনের সময় অর্থাৎ শীতকালে ৮০-১০০ টাকা বিক্রি করতে পারবেন। সে হিসেবে আপনি এ কেজি মাশরুম ৩৫০-৪০০ ইজিলি বিক্রি করতে পারবেন। অর্থাৎ ১০০ টা স্পন চাষ করলে আপনি ৪৫,০০০ – ৫০,০০০ টাকা ঘরে তুলতে পারবেন। এই গেলো আপনার আয়ের হিসাব। এবার আসি ব্যয় কি পরিমাণ হবে তা জেনে নিই।
মাশরুম চাষে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় ঘর তৈরিতে। আপনি যদি এটা একটু ভালোমতো তুলে ৪-৫ বছর ব্যবহার করতে পারেন সেক্ষেত্রে এর খরচগুলো পরবর্তী চাষে আপনার সহজে পুষে যাবে। এছাড়া মাশরুম স্পন প্রতিটা জায়গাভেদে ২৫-৪০ টাকায় কিনতে হবে। ধরে নিলাম গড়ে তা ৩০ টাকা। সে হিসেবে ১০০ টা বীজের খরচ পড়বে ৩,০০০ টাকা। ঘর তৈরিতে ১০,০০০ টাকা ধরে নিলাম। খড় কেনা বাবাদ ২০০০ টাকা। পলিথিন, চুন, রাবার ব্যান্ড, স্প্রে মেশিনসহ অন্যান্য উপকরণ কিনতে ধরে নিলাম আরও ৫,০০০ টাকা খরচ গেলো। অর্থাৎ ১০০ টা বীজ চাষ করতে আপনার সর্বমোট ১৮,০০০-২০,০০০ টাকা খরচ হতে পারে।
মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর
এছাড়া মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আপনার যেসব প্রশ্ন থাকতে পারে সেগুরোর উত্তর ভিডিওকারে দেয়া আছে। ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।
লেখক: ত্রিরত্ন চাকমা