ম্যাক্স ওয়েবার এর পরিচয়
ম্যাক্স ওয়েবার জার্মানির বার্লিন শহরের আরফুর্ট নামক স্থানে ১৮৬৪ সালের ২১ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। ওয়েবারের পিতার নামও ম্যাক্স ওয়েবার। ওয়েবারের পরিবার ছিল এক বিখ্যাত অভিজাত পরিবার। পিতা ছিলেন ধর্ম নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন এবং অত্যন্ত উদ্যোগী ও সক্রিয় প্রকৃতির মানুষ। অপরদিকে, ম্যাক্স ওয়েবারের মা ছিলেন একনিষ্ঠ ক্যালভিন পন্থি এবং অত্যন্ত আধ্যাত্মিক মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারিণী। ফলে ওয়েবারের মাতা-পিতার মধ্যে পারস্পরিক আদর্শগত দ্বন্দ্ব ছিল, যা তাঁর উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছিল।
ম্যাক্স ওয়েবার স্কুল জীবনেই তার বোদ্ধিক বিচক্ষণতার স্বাক্ষর রাখেন। পড়াশোনায় তাঁর অধ্যবসায় ছিল অসাধারণ। তিনি হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮৮২ সালে আঠার বছর বয়সে ভর্তি হন। এরপর বার্লিন ও গোটিনজেন এ পড়াশোনা করেন। ১৮৯৪ সালে ওয়েবার ফ্রেইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপকের পদ পান। ১৮৯৬ সালে হাইডেলবার্গ (Heidelberg) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপকের পদে নিযুক্ত হন। ১৯১০ সলে ‘German Sociological Society’ নামে একটি সমাজতাত্ত্বিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। সমাজবিজ্ঞানী টনিজ ও জর্জ সিমেলসহ অনেক সমাজবিজ্ঞানী এই সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ওয়েবার ১৮৯৩ সালে বার্লিনের এক বিশিষ্ট ডাক্তারের কন্যাকে বিয়ে করেন। তাঁর দাম্পত্যজীবন অত্যন্ত সুখের ছিল। কিন্তু বোদ্ধিক আবেগ অনুভূতির মানসিক যন্ত্রণায় তাকে স্নায়বিক দৌর্বল্যজনিত রোগের শিকার হতে হয়। ১৮৯৭ সালে তার পিতার মৃত্যু হয়। পিতার মৃত্যুর পর তিনিও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এর ফলে বোদ্ধিক কাজকর্মে তাঁর স্থবিরতা নেমে আসে। ১৯২০ সালে জুন মাসের ১৪ তারিখ ম্যাক্স ওয়েবার পরলোক গমন করেন।
ম্যাক্স ওয়েবারের তত্ত্ব
ম্যাক্স ওয়েবারের তত্ত্ব সমূহের মধ্যে সামাজিক ক্রিয়া তত্ত্ব ও কর্তৃত্ব তত্ত্ব উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ম্যাক্স ওয়েবারের আমলাতন্ত্র তত্ত্ব খুব বেশি জনপ্রিয়।
ম্যাক্স ওয়েবারের বিখ্যাত গ্রন্থ সমূহ
ম্যাক্স ওয়েবারের উল্লেখযোগ্য বিখ্যাত গ্রন্থ গুলো হলো:
(i) The Protestant Ethic and The Spirit of Capitalism,
(ii) The Religion of India,
(iii) The City,
(iv) The Sociology of Religion,
(v) General Economic History.
আরও পড়ুন:
এমিল ডুর্খেইম আত্মহত্যা তত্ত্ব আলোচনা কর
এমিল ডুর্খেইম সামাজিক ঘটনা তত্ত্ব আলোচনা কর
অগাস্ট কোঁৎ এর ত্রয়স্তর সূত্র সম্পর্কে লিখ
অগাস্ট কোঁৎ এর দৃষ্টবাদ ব্যাখ্যা কর