অপরাধের বৈশিষ্ট্য সমূহ
আইন ভঙ্গমূলক কাজকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। এর কতিপয় নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য বা প্রকৃতি রয়েছে যার উপর ভিত্তি করে অপরাধকে চিহ্নিত করা যায়। নিম্নে অপরাধের বৈশিষ্ট্য গুলো আলোচনা করা হলো:
১. আইন লঙ্ঘনকারী কাজ
অপরাধের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো আইন লঙ্ঘনকারী কাজ। অর্থাৎ অপরাধের জন্য আইন লঙ্ঘন করা একান্ত অপরিহার্য। কোন ব্যক্তিকে তখনই অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে যখন সে আইন পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি আইন ভঙ্গ করার কাজ করতে ইচ্ছা পোষণ করল অথচ তা ভঙ্গ করল না তখন তাকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা যাবে না।
বিচ্যুতি কি, সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য ও বিচ্যুতির কারণ |
২. কর্তব্যে অবহেলা
কর্তব্যে অবহেলাও অপরাধের একটি বৈশিষ্ট্য। কোন ব্যক্তির কোন অবহেলার কারণে যদি কোন দুর্ঘটনা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে তবে সেটিও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
৩. শাস্তি
অপরাধের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি আইনে উল্লেখ থাকতে হবে এবং সমাজ বা রাষ্ট্র কর্তৃক এটি ভঙ্গের জন্য শাস্তির বিধান থাকতে হবে।
৪. অপরাধ মানসিকতা
অপরাধের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো অপরাধ মানসিকতা। অর্থাৎ অপরাধী ব্যক্তিকে অপরাধ করার অভিপ্রায় বা আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে। ভুলক্রমে কোনকিছু করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।
৫. নিষিদ্ধ
অপরাধ সমাজ বা সরকারি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিষিদ্ধ। অপরাধ মূলত অসৎ উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়ে থাকে।
সামাজিক গতিশীলতা বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি? |
৬. সংহতির পরিপন্থি
অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সমাজের সংহতির পরিপন্থি। এটি মানুষের আবেগ ও অনুভূতিকে আহত করে এবং কোন অনানুষ্ঠানিক বাহন বা সংস্থা দ্বারা একে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
পরিশেষে বলা যায়, অপরাধ মূলত আইন ভঙ্গমূলক কাজ এবং উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যের আলোকে অপরাধকে চিহ্নিত করা যায়।
1 comment
[…] অপরাধের বৈশিষ্ট্য কি কি? […]
Comments are closed.