চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা
কোনো দ্রব্যের দামের পরিবর্তনের ফলে চাহিদার পরিমাণে যে পরিবর্তন ঘটে, তাকে চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা বলে। কোনো দ্রব্যের দাম পরিবর্তনের ফলে ওই দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণ যে মাত্রায় সাড়া দেয় তাই চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা। চাল, গম, লবণ, কাপড়, তেল ইত্যাদি প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্ষেত্রে চাহিদার পরিবর্তন কম। পক্ষান্তরে মোটরগাড়ি, ফ্রিজ, টেলিভিশন, আসবাবপত্র প্রভৃতির দামের পরিবর্তনে চাহিদার পরিবর্তন বেশি। অধ্যাপক লিপসির মতে, “চাহিদার পরিমাণের শতাংশিক পরিবর্তনকে দামের শতাংশিক পরিবর্তন দ্বারা ভাগ করে চাহিদা দাম স্থিতিস্থাপকতা নির্ণয় করা যায়।”
উদাহরণ: কোনো দ্রব্যের প্রাথমিক দাম যখন 20 টাকা, চাহিদার পরিমাণ তখন 200 একক। দাম পরিবর্তিত হয়ে 19 টাকা হলে চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে 210 একক হলো।
এক্ষেত্রে, Q১ = 210, Q = 200, P১ = 19 এবং P = 20
∴ ΔQ = (Q1 – Q) = 210 – 200 = 10
ΔP = (P1 – P) = 1 9- 20 = -1
আমরা জানি, Ep = ΔQ/ΔP × Q/P = 10/(-1) × 20/200 = -1
চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতার ক্ষেত্রে (-) চিহ্নকে অবজ্ঞা করা হয়। তাই Ep = 1 ।
চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতার সূত্র
চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতার সূত্রটি নিম্নরূপ
চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা = চাহিদার পরিমাণে পরিবর্তনের হার/দামের পরিবর্তনের হার
= চাহিদার পরিবর্তনের পরিমাণ/প্রাথমিক চাহিদা
= দামের পরিবর্তন/প্রাথমিক দাম
বা Ep = ΔQ/Q ÷ ΔP/P
= ΔQ/Q × P/ΔP
= ΔQ/ΔP × P/Q
এখানে,
Ep = চাহিদার্ দাম স্থিতিস্থাপকতা
ΔQ = চাহিদার পরিবর্তনের পরিমাণ
Q = প্রাথমিক চাহিদা
ΔP = দামের পরিবর্তন
P = প্রাথমিক দাম
চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে ও চাহিদার স্থিতিস্থাপকতার সূত্র |
চাহিদার সংকোচন প্রসারণ ও হ্রাস বৃদ্ধি আলোচনা কর |