Home » সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি আলোচনা কর

সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি আলোচনা কর

by Rezaul Karim
সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি আলোচনা কর

সমাজবিজ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে আগের লেখায় আলোচনা করা হয়েছে। আজকের লেখায় আলোচনা করবো সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি সম্পর্কে।

সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি

জ্ঞানের একটি শাখা হিসেবে আধুনিককালে সমাজবিজ্ঞান সুপ্রতিষ্ঠিত। অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞানের মতো সমাজবিজ্ঞানও একটি গতিশীল বিজ্ঞান। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সমাজ ও সামাজিক সম্পর্কের আলোচনা অপরিবর্তিত থাকতে পারে না। তাই মানুষের সভ্যতা ও সংস্কৃতি ক্রমবিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সমাজবিজ্ঞান সম্বন্ধে ধারণারও বিবর্তন ঘটেছে এবং সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কে বিভিন্ন সংজ্ঞার সৃষ্টি হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হলো দৃষ্টিভঙ্গির তারতম্য, অর্থাৎ একই বিষয়কে নানাদিক দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায় তার প্রমাণ ।

প্রকৃতপক্ষে, সমাজবিজ্ঞানের মূল পরিচয় কি? কি তার বৈশিষ্ট্য? যার প্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে সমাজবিজ্ঞান সুপ্রতিষ্ঠিত। এ সকল প্রশ্নের যথার্থ উত্তরের মাধ্যমে আমরা সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি সম্পর্কে অবগত হতে পারব।

সমাজবিজ্ঞানী টি. বি. বটোমোর বলেন, “সমাজবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটি প্রচলিত বিতর্ক সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি নিয়ে। একদল সমাজবিজ্ঞানী সমাজবিজ্ঞানকে প্রকৃতিবিজ্ঞানের অনুরূপ বিজ্ঞান বলে মনে করেন। অন্য দলের মতে এটি একটি স্বতন্ত্র ধরনের বিজ্ঞান, ইতিহাস ও দর্শনের সঙ্গেই এর সম্পর্ক বেশি।”

সমাজবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানভিত্তিক করে তাকে সমাজের বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সমুদয় প্রচেষ্টার পেছনে একটাই মূল উদ্দেশ্য, তা হচ্ছে প্রধান প্রধান ঘটনাপুঞ্জকে আলোচনার পরিধিতে এনে সমগ্র সমাজজীবন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা। এই বিশ্লেষণের ব্যাপারে সমাজবিজ্ঞানের প্রায় একচ্ছত্র অধিকারের কথা বলতে গিয়ে অগাস্ট কোঁৎ একে ‘বিজ্ঞানের রানী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ইমেইল ডুরখেইম সমাজবিজ্ঞানকে ‘প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের’ শ্রেণীভুক্ত করার পক্ষপাতী। ম্যাক্স ওয়েবার কিন্তু একে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের পর্যায়ভুক্ত না করে ইতিহাস ও অন্যান্য সমাজ পর্যালোচনামূলক বিষয়ের সঙ্গে একাসীন রাখতে চান। পদ্ধতিগত এই নানা অবস্থান ও বিতর্কের প্রেক্ষিতে ‘বিজ্ঞান’ হিসেবে সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি সম্পর্কে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব যদি বলা হয় তাহলে বলা যায় সমাজবিজ্ঞানী টি. বি. বটোমোর এর এ উক্তিটিই যথার্থ, “বিদ্যাটি লক্ষ্য ও পদ্ধতির দিক থেকে বৈজ্ঞানিক।”

প্রথমাবস্থায় একদিকে যেমন সমাজবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানধর্মী করে গড়ে তোলার চেষ্টা ছিল অপরদিকে তেমনি নানারকম বিমূর্ত ও ভাবপ্রধান চিন্তা সমাজতাত্ত্বিক আলোচনায় স্থান পেতে থাকে। এসব বিমূর্ত চিন্তা সমাজবিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করে। এই বিতর্ক বর্তমানকালেও অব্যাহত আছে।

প্রথমাবস্থার আলোচনায় সমাজবিজ্ঞানের যে প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয় ছিল তা নিম্নরূপ :

প্রথমত, সমাজবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ব্যাপকভাবে নির্ণীত হতো। ঊনবিংশ শতাব্দীর কৃতী সমাজবিজ্ঞানীগণ এই নতুন বিজ্ঞান সম্পর্কে উচ্চ ধারণার ফলে এটিকে বিশ্বকোষ সাদৃশ্য করতে চেয়েছিলেন। এক্ষেত্রে বলা যায় আদিকালের সমাজবিজ্ঞানীগণ তাঁদের অন্বেষা ইউরোপীয় সমাজের গণ্ডীতেই সীমাবদ্ধ রাখেন নি, সব ধরনের মনুষ্য সমাজই তাঁদের নব্য সমাজবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু হিসেবে গণ্য হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, আদি যুগে সমাজবিজ্ঞানকে প্রকৃতিবিজ্ঞানের মতো ইতিবাচক বিজ্ঞান বলে মনে করা হতো। ফলে অষ্টাদশ শতাব্দীতে ভৌত বিজ্ঞানের প্রভাব লক্ষণীয়। 

তৃতীয়ত, অধিকাংশ সমাজবিজ্ঞানীর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অভিব্যক্তিমূলক। অর্থাৎ জীববিজ্ঞানের মডেল আদর্শ হয়ে উঠেছিল। সমাজকে যেভাবে জীবদেহের সঙ্গে তুলনা করে দেখা হচ্ছিল এবং সমাজ বিবর্তনের সার্বিক সূত্র নির্মাণের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল তা থেকে এটা স্পষ্ট।

চতুর্থত, সমাজ শিক্ষার ক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গির প্রকৃতি বিশদ করে সামাজিক বিজ্ঞানে তার স্থান নির্দেশ।

বিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞান হিসেবে সমাজবিজ্ঞানের অগ্রগতি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞানের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হলে এর প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যের আরো কতকগুলো দিক আমরা দেখতে পাই। যেমন-

১. সমাজবিজ্ঞান ভৌতবিজ্ঞান নয়, এটা সামাজিক বিজ্ঞান

সমাজবিজ্ঞান সামাজিক বিজ্ঞানের পর্যায়ভুক্ত, ভৌত বা প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো নয়। সামাজিক মানুষের আচরণ বিধি, কার্যাবলি কিভাবে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে উঠে এবং কিভাবে এর চলমানতা বজায় থাকে তা নিয়ে অধ্যয়ন করতে গিয়ে গোটা সমাজের মধ্যেই এর অনুসন্ধান করতে হয়। সৃষ্টি জগতের অমোঘ রহস্য উদ্ঘাটন ও প্রাকৃতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে সূত্র নির্মাণে নিয়োজিত নয়। সমাজবিজ্ঞান একটি অন্যতম সামাজিক বিজ্ঞান। হিসেবে অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞানের সাথেও এর সম্পর্ক বিদ্যমান।

২. সমাজবিজ্ঞানের প্রধান কাজ হলো সমাজতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা করা

সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপটে সমাজবিজ্ঞানী মানবসমাজ ও তার সংস্কৃতির বিশ্লেষণ তুলে ধরার প্রয়াসে নিয়োজিত। সমাজবিজ্ঞানের প্রত্যয় বিনির্মাণে এবং সমাজবিজ্ঞানিগণ তাত্ত্বিক ব্যাখ্যার নিরিখে সামাজিক ঘটনাগুলোর বিশ্লেষণ করে থাকেন। সামাজিক আন্তঃক্রিয়াকে বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন জাতিরূপে ভাগ করা সমাজবিজ্ঞানের আলোচ্যবিষয়। সিমেলের মতে, বৈয়াকরণের ন্যায় সমাজবিজ্ঞানীদের কাজ হলো নানাপ্রকার সামাজিক সম্বন্ধ আন্তঃক্রিয়া বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন কর্ম বা জাতিরূপে ভাগ করা। এখানেই সমাজবিজ্ঞানের স্বাতন্ত্র্য এবং অপরাপর সামাজিক বিজ্ঞানের সঙ্গে পার্থক্য।

৩. সমাজবিজ্ঞান একটি বস্তু নিরপেক্ষ বিজ্ঞান এবং বাস্তবভিত্তিক বিজ্ঞান নয়

সমাজবিজ্ঞান সামাজিক বিষয়াদি ও ঘটনাবলির কার্যকারণ সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করে। যেমন- সমাজবিজ্ঞানিগণ বিশেষ কোন যুদ্ধের বা বিপ্লবের বাস্তবতার সম্পর্কে আলোকপাত না করে তা সামাজিক প্রপঞ্চের একটি অন্যতম দ্বন্দ্ব হিসেবে বিশ্লেষণ করে।

৪. স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে সমাজবিজ্ঞান

সমাজবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়ের যেমন একটা সামগ্রিকতা আছে তেমনি তার একটা নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিও আছে। এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপটে সমাজস্থ ব্যক্তির পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে। এক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞান সমাজের গড়ন এবং পরিবর্তনশীল সমাজের গঠন প্রণালী পর্যালোচনা করে। বলা যায়, সমাজবিজ্ঞানের আলোচনায় সমাজের সামগ্রিক রূপ ধরা পড়ে। সমগ্র মানবসমাজে যে মৌলিক ভাবধারা পরিব্যাপ্ত থাকে এবং যার সমন্বয়ী প্রকৃতি দ্বারা গোটা সমাজের যাবতীয় বিষয় প্রভাবিত হয়, সমাজবিজ্ঞানের আলোচনায় সেই ভাবধারার পরিচয় পাওয়া যায়।

৫. সমাজবিজ্ঞান মূল্যবোধ নিরপেক্ষ বিজ্ঞান এবং এটা মান নির্ধারক বিষয় নয়

সমাজবিজ্ঞানকে মূল্যমান নিরপেক্ষ বিষয় হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সমাজবিজ্ঞানী যথাসম্ভব মূল্যবোধ বা মূল্যায়ন সম্পর্কিত প্রভাব কাটিয়ে আলোচ্যবিষয় সম্বন্ধে নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে চেষ্টা করেন। দর্শন শাস্ত্রের মতো কি বাঞ্ছনীয় বা কি হওয়া উচিত এই নিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিচার করে না। ধর্ম বা নীতিশাস্ত্রের মতো সমাজবিজ্ঞান মান নির্ধারক বিষয় নয়। সমাজের গতিপথ কি হওয়া উচিত অথবা সামাজিক পরিবর্তনের সম্ভাব্য পরিণতি ভালো না মন্দ এই নিয়ে সমাজবিজ্ঞানীরা আলোচনা করেন না। কেবল বিষয়গত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সমাজস্থ লোকদের নানারকম সামাজিক আন্তঃক্রিয়া বিশ্লেষণ করেন।

৬. সমাজবিজ্ঞানএকটিতাত্ত্বিকশাস্ত্র, এটাব্যবহারিকশাস্ত্র নয়

পদার্থবিদ্যা, রসায়নশাস্ত্র বা অঙ্কশাস্ত্রের মতো সমাজবিজ্ঞানকে একটি তাত্ত্বিক বিজ্ঞান হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রকৌশল, স্থাপত্যবিদ্যা বা কম্পিউটারের মতো ব্যবহারিক শাস্ত্র নয়। সমাজবিজ্ঞানী সমাজ এবং বিভিন্ন রকম আন্তঃক্রিয়াকে নানাদিক থেকে বিশ্লেষণ করে জ্ঞানভাণ্ডার পরিপুষ্ট করে। আর এই সঞ্চিত জ্ঞানভাণ্ডার থেকে প্রশাসক, সমাজসংস্কারক ও সমাজস্থ মানুষ প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণ করে সমাজ পরিকল্পনার কাজে ব্যবহার করেন।

৭. সমাজবিজ্ঞান একটি সাধারণ বা সর্বজনীন সমাজবিদ্যা, বিশেষ উদ্দেশ্য পরিকল্পিত বা নিয়োজিত সমাজবিদ্যা নয়

সমাজবিজ্ঞানের নীতিসমূহের সর্বজনীন আবেদন আছে। যেমন- বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে সমাজবিজ্ঞানে যে শৃঙ্খলিত জ্ঞান, সাধারণ সূত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয় সেগুলো ভবিষ্যতে অনুরূপ অবস্থায় নির্দ্বিধায় প্রয়োগ করা যায়। সমাজবিজ্ঞানের এই মৌলিক নিয়মাবলি সর্বদেশে ও সর্বকালে অভ্রান্ত প্রতিপন্ন হয়।

৮. সমাজবিজ্ঞান একটি প্রায়োগিক শাস্ত্র

সমাজবিজ্ঞানের একটি প্রায়োগিক দিক রয়েছে, এর কারণ সমাজবিজ্ঞান প্রধান তথ্যভিত্তিক। সামাজিক ঘটনাসমূহকে যুক্তিসিদ্ধ উপায়ে বিচার বিশ্লেষণ করা এই শাস্ত্রের লক্ষ্য। বিমূর্তভাবে প্রধানত অবাস্তব চিন্তা সমাজবিজ্ঞানের আলোচনায় স্থান পায় না। আধুনিক সমাজবিজ্ঞানে তাত্ত্বিক আলোচনার পাশাপাশি প্রয়োগভিত্তিক ব্যবহারিক আলোচনার গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজবিজ্ঞানের আলোচনায় পরিসংখ্যানমূলক ও গাণিতিক পদ্ধতি অনুসৃত হচ্ছে। বর্তমানে সূচক সংখ্যার মাধ্যমে ও সংখ্যাতাত্ত্বিক উপায়ে সামাজিক ঘটনাবলির প্রকৃতি নির্ধারণ করা হয়। সমাজবিজ্ঞানের পঠনপাঠন বিশেষত গবেষণার ব্যাপারে প্রথাগত শুদ্ধতাত্ত্বিক পদ্ধতি অপেক্ষা সমস্যাভিত্তিক প্রত্যক্ষ ও সরেজমিন অনুশীলন গুরুত্ব পাচ্ছে। বস্তুত এই ধরনের ফলিত সমাজবিজ্ঞানের আলোচনাই বর্তমানে অধিক জনপ্রিয়। ফলিত সমাজবিজ্ঞানে সমাজস্থ মানুষের সভ্যতা ও সংস্কৃতির বহুবিধ সমস্যা ও সেসবের সমাধান সম্পর্কে তথ্যভিত্তিক আলোচনা করা হয়।

আমরা বলতে পারি যে, তত্ত্ব এবং ঘটনা বা সামাজিক প্রপঞ্চ জ্ঞান আহরণে বিশেষ প্রয়োজন। সমাজতাত্ত্বিক অনুসন্ধানেও এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এক্ষেত্রে বলা যায় যে প্রায়োগিক শাস্ত্রবিদগণ সমাজের তথ্য বা প্রপঞ্চ সংগ্রহ করে বৌদ্ধিক বিশুদ্ধবাদীরা তা সমন্বয় করে এবং জ্ঞানের তত্ত্ব ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে। এ প্রসঙ্গে ইমানুয়েল কান্ট এর উক্তি প্রণিধানযোগ্য, “তত্ত্ববিহীন প্রপঞ্চ মূল্যহীন এবং প্রপঞ্চবিহীন তত্ত্ব অন্ধ।”

উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি, সমাজবিজ্ঞানের পুরানো তত্ত্ব ও প্রত্যয়গুলোর যে পুনর্মূল্যায়ন, পরিবর্ধন ও বিশোধন হচ্ছে, সেসব নতুনতর ক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞানের প্রসার ঘটেছে- ফলে সামাজিক বিজ্ঞানসমূহের মধ্যে সমাজবিজ্ঞান একটি ভিন্ন তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বৈজ্ঞানিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি এ সকল বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই প্রতিফলিত হয়।

আরও পড়ুন:

সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে? সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ আলোচনা কর।

 

Related Posts