সাধারণত জমির দাম বাড়লে জমির মালিকের অতিরিক্ত আয় হয়। এখানে জমির মালিকের এই অতিরিক্ত আয়ের জন্য বাড়তি কোনো পরিশ্রম করতে হয়নি। এক্ষেত্রে জমির মালিকের অতিরিক্ত এই আয়কেই অনুপর্জিত আয় বলে। অর্থাৎ, “জমির মালিক বিনা পরিশ্রমে বাড়তি কোনো ব্যয় না করে জমি থেকে অতিরিক্ত যে আয় পায় তাকে অনুপার্জিত আয় বলে।” যেমন- একটি এলাকায় বেশকিছু বৃহৎ শিল্প স্থাপিত হলো। ফলে ওই এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নতি হয় এবং কারখানাগুলোতে কর্মরত কর্মীদের জন্য ওই এলাকায় লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে লেখা যাবে ওই এলাকায় জমির মূল্য বৃদ্ধি পায়। আর জমির মালিকের বাড়তি এই আয়ই হচ্ছে অনুপার্জিত আয়। অনুপার্জিত আয় সৃষ্টির কারণ সমূহ হলো-
১. কোনো এলাকায় শিল্পকারখানা স্থাপন করা হলে জমির মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
২. জনসংখ্যার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে আবাসন বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়ে। ফলে জমির মূল্য বৃদ্ধি পায়।
৩. মহাসড়ক বা রাস্তাঘাট উন্নয়নের ফলেও জমির মূল্য বৃদ্ধি পায়।
৪. নগরায়ণ বা নতুন শহর স্থাপন হলে আধুনিকতার প্রয়োজনে অনেক কিছুই পরিবর্তন করতে হয়। ফলে জমির মূল্য বৃদ্ধি পায়।
চিত্রের সাহায্যে অনুপার্জিত আয়ের ধারণাটি ব্যাখ্যা করা যায়।
চিত্রের ভূমি অক্ষে জমির পরিমাণ এবং লম্ব অক্ষে দাম নির্দেশ করে। SS1 জমির যোগান D1D1 ও D₂D₂ জমির চাহিদা। চিত্র হতে দেখা যায়, SS1 যোগান স্থির রেখে জমির চাহিদা DD1 হলে জমির দাম হবে OP1। এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণ, রাস্তাঘাট উন্নয়ন ইত্যাদি কারণে জমির চাহিদা D₂D₂ পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জমির দাম বৃদ্ধি পেয়ে OP₂ হয় তাহলে অনুপার্জিত আয় হবে P1P2 EF ।
আর্থিক মজুরি ও প্রকৃত মজুরির মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর |