কার্ল মার্কসের উদ্বৃত্ত মূল্য তত্ত্ব – ব্রিটিশ রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির আর একটি দিক হলো উদ্বৃত্ত মূল্য। যাকে মার্কস শ্রমিক শোষণের আর এক উপায় বলে মনে করতেন। মার্কস এ তত্ত্বের সাহায্যে পুঁজিবাদী সমাজে শোষণ কিভাবে চলে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কার্ল মার্কসের উদ্বৃত্ত মূল্য তত্ত্ব তাঁর এবং অর্থনৈতিক তত্ত্বের মূলকথা।
আরও পড়ুন: কার্ল মার্কসের শ্রেণী সংগ্রাম তত্ত্ব
উদ্বৃত মূল্য কী?
পুঁজিবাদী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে শ্রমিক যে শ্রম আশায় ব্যয় করে তা দুই অংশে বিভক্ত। তার কর্মদিবসের মধ্যকার এক অংশে শ্রমিক উৎপাদন করে তার শ্রমশক্তির সমমূল্যের মূল্য, এটা হলো প্রয়োজনীয় শ্রম। কর্মদিবসের অপর অংশে শ্রমিক উৎপাদন করে উদ্বৃত্ত মূল্য, যা পুঁজিপতিরা আত্মসাৎ করে মাগনায় বা বিনা পয়সায়। এটাই হলো উদ্বৃত্ত শ্রম।
শ্রমিকের উদ্বৃত্ত শ্রমের সাহায্যে যে মূল্য সৃষ্টি হয় সেটা উদ্বৃত্ত মূল্য । উদ্বৃত্ত মূল্য হলো শ্রমিকের যে শ্রমের পারিশ্রমিক দেয়া হয় নি তারই ফল। মজুরিতে নিযুক্ত শ্রমিকের পারিশ্রমিকহীন শ্রম দ্বারা সৃষ্ট উদ্বৃত্ত মূল্যই হলো পুঁজিবাদী সমাজের সমস্ত অনুপার্জিত আয়ের উৎস। এ উদ্বৃত্ত শ্রম থেকে যা আসে তাকে বলে মুনাফা। এভাবে শ্রমমূল্য আত্মসাৎ করে পুঁজিপতি মুনাফার পাহাড় গড়ে তোলে। মার্কস একেই শোষণ বলেছেন, কারণ পুঁজিপতিরা শ্রমিকের কাছ থেকে যা পাচ্ছে তার জন্য পুরো মূল্য দিচ্ছে না।